ঢাকাসোমবার, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চরম বামপন্থী ও চরম দক্ষিণপন্থীরা এখন নৌকায় আশ্রয় নিয়েছে : ফিরোজ রশীদ

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
এপ্রিল ৯, ২০২৩ ৮:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চরম বামপন্থী ও চরম দক্ষিণপন্থীরা এখন নৌকায় আশ্রয় নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফিরোজ রশীদ। তিনি বলেছেন, তাদের নাম উচ্চারণ করা যাবে না। কারণ সকলেই নৌকায় উঠে চলে গেছে। নৌকা তো আপনারা বাইবেন। নৌকার পাইলট আপনারা। তারা উঠে বসে আছেন। কয় মাঝি আর কত দূর? পার হতে কত দূর। নির্বাচনের আর ৯ মাস আছে। এরপরই পার করে দেব। তারপর পাঁচ বছরের জন্য আপনারা নিশ্চিন্ত। তারা নৌকায় উঠে বসে গেছে। এই তো অবস্থা আওয়ামী লীগের।

আজ রবিবার জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৪৭ বিধিতে উত্থাপন করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরির সভাপতিত্বে অধিবেশনে তিনি আরো বলেন, আগে রাজনীতি নেশা ছিল, আর এখন পেশা হয়েছে। জীবনকে রাতারাতি বদলে দেওয়ার একমাত্র পন্থা হচ্ছে রাজনীতি। আগে রাজনীতি নেশা ছিল, জীবনকে বাজি রেখে রাজনীতি করত। এখন সেই নেশা নেই। এটা সবচেয়ে বড় পেশা। পাকিস্তান আমলে দেখা যেত পাত্র যদি রাজনীতি করে তাহলে বিয়ে দিত না। কারণ সে কোনো চাকরি পাবে না, তাহলে সে খাওয়াবে কী? খাওয়াতে হলে পত্রিকা অফিসে চাকরি করতে হবে, নাহলে বটতলার উকিল হতে হবে, না হয় মুদি দোকানদার হতে হবে অথবা এজেবির কেরানিগিরি। কার কাছে মেয়ে দেবে? কিন্তু এখন যদি শোনে পাত্র সরকারি দল করে তাহলে কয় আলহামদুলিল্লাহ। এর চেয়ে ভালো পাত্র আর হয় না। কারণ সে কিছু করতে পারবে।

সংসদের অনেক অর্জনের সঙ্গে দুর্বলতাও আছে বলে দাবি করেন ফিরোজ রশীদ। তিনি বলেন, আজ পর্যন্ত একটা কমিশন (বঙ্গবন্ধু হত্যা) গঠন করতে পারছেন না। কারা জড়িত ছিল, এই জাতি যদি জানতে না পারে, তাহলে ইতিহাসের ভগ্নাংশ রেখে লাভ নাই। কারণ বঙ্গবন্ধুকে মারছিল বিশাল ষড়যন্ত্রের কাজ। ডালিম, ফারুক, রশিদ গিয়ে করল, তা নয়। এর পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল, তা আপনারা বের করলেন না।

বর্তমান সরকারের আমলে বিএনপির ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি ব্যবসা পেয়েছে দাবি করে বিরোধীদলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগ ব্যবসা নেয়। আর পিছে থাকে বড় বড় বিএনপি। তিনি প্রশ্ন রাখেন, টেলিভিশনের লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে, পেছনে কারা? লাইসেন্স তো বিক্রি করে দিচ্ছে। সমস্ত টেলিভিশন কাদের হাতে যাচ্ছে? যাকে লাইসেন্স দিচ্ছেন সে শুধু আপনাদের সাথে আছে।

ফিরোজ রশীদ বলেন, জাতি এখন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। নিরপেক্ষ কোনো মানুষ নেই। শিক্ষক, ডাক্তার, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক সবাই বিভক্ত। পুরো দেশই এখন দুই ভাগে বিভক্ত।