আজ রবিবার (৯ এপ্রিল) বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঈদ উপলক্ষে সড়কপথে যাত্রীসাধারণের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
তিনি আরো বলেন, পুলিশও ভিআইপিদের ব্যাপারে এত উদাস কেন? আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কেন ভয় পায়? আপনাদের সহায়তায় তো ঢাকা সিটিতে আমরা মোটরসাইকেলের শৃঙ্খলা এনেছি। আবার দেখা যায় ১৫ থেকে ২০টা মোটরসাইকেলে নো হেলমেট, এরা হলো রাজনৈতিক তরুণ তুর্কি। এদের আবার পুলিশ কিছু বলে না, ভয় পায়। কেন ভয় পান? কেন ডিসিপ্লিন ভঙ্গের জন্য এদের ধরেন না? এক্সাম্পল সেট করুন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় ঘাটতি আমাদের শৃঙ্খলার। সড়কে সেটা কার্যকর হয়নি। পরিবহনেও হয়নি। আরো অনেক জায়গায় ছয় লেন বা আট লেন করার পরিকল্পনা আছে। তবে ডিসিপ্লিন কিভাবে কার্যকর করতে পারা যাবে- সেটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ডিসিপ্লিন থাকলে যানজট ও দুর্ঘটনা কমবে। এখন গতানুগতিক একটা মিটিং করে ও বক্তব্য দিয়ে যদি মনে হয় দায়িত্ব শেষ হয়ে গেছে… তাহলে শৃঙ্খলা ফেরানো যাবে না।
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহজাহান খান এমপি, সড়ক ও সেতু সচিব এ বি এম আমান উল্লাহ নুরী, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েত উল্লাহ, যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।