ঢাকাসোমবার, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সরকার বিএনপিকে অন্য পথে নিতে উসকানি দিচ্ছে : ফখরুল

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
এপ্রিল ৮, ২০২৩ ১০:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিয়ে বিএনপিকে অন্য পথে নিয়ে যেতে উসকানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার এক ইফতার অনুষ্ঠানে সারা দেশে দলের দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা দেওয়ার বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে তিনি এই অভিযোগ করেন।

ইস্কাটন গার্ডেনের লেডিস ক্লাবে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (অ্যাব) আয়োজিত অ্যাবের উদ্যোগে এই ইফতার মাহফিল হয়। এতে লন্ডন থেকে স্কাইপে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রকৌশলীসহ পেশাজীবীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ শনিবার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের মূল্য প্রতিরোধ ও সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে সারা দেশে আমাদের উপজেলা ও থানা পর্যায়ে অবস্থান কর্মসূচি ছিল। কিন্তু অধিকাংশ জায়গায় কর্মসূচি করতে দেয়নি। ইতিমধ্যেই ঢাকায় ৫০ জনের বেশি নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। যশোরের শার্শায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। নেত্রকোনায় হামলা করেছে। এভাবে দেশের অন্য জায়গায় হামলা করেছে।

গ্যাস-বিদ্যুৎ-নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের প্রতিবাদে এবং সরকার পদত্যাগের ১০ দফা দাবিতে বিএনপি সারা দেশের থানা-উপজেলা পর্যায়ে বিকাল তিনটা থেকে ৫টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি ছিল। এই কর্মসূচি প্রত্যেক জায়গায় বাধার অভিযোগ তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, সব জায়গায় আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগরেই গ্রেপ্তার হয়েছে প্রায় ৫০ জনের মতো। যশোরের শার্শাতে কর্মসূচি শুরু করার আগেই পুলিশের সামনে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করে। যশোরের সাধারণ সম্পাদককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছে, মফিকুল ইসলাম তৃপ্তিসহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে। একইভাবে নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, রমজান মাসে তারা (ক্ষমতাসীনরা) অনেক মারমুখি হয়ে উঠেছে। ইতিপূর্বে তারা নাটোরে একই ঘটনা ঘটিয়েছে, যশোরে ঘটিয়েছে, খুলনাতেও ঘটিয়েছে। একই সঙ্গে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। এর মূল কারণ যারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়, তারা কাওয়ার্ড সরকার। কাপুরুষ বললে হয়তো সঠিক হবে। তারা জনমতকে ভয় পায়। ভয় পায় বলে তারা জনগণের কোনো সমাবেশ করতে দেয় না, জনগণের সামনে দাঁড়িয়ে যে কথা বলবে সেই কথা তারা সহ্য করতে পারে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার ভাষণে বলেছেন, গণতন্ত্রহীন উন্নয়ন কখনো সর্বজনীন হতে পারে না। অথচ এই কথা আমরা বহুকাল ধরে বলে আসছি। তার দল আওয়ামী লীগই তো এই গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেশ ফোকলা করে দিয়েছে। আসুন আমরা একটি মুক্ত ও সত্যিকারের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি।

অ্যাবের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, আবদুল হাই শিকদার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, অ্যাবের মহাসচিব হাছিন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ইফতারে বিএনপি মহাসচিবসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ড্যাবের অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, জিয়া পরিষদের অধ্যাপক এমতাজ হোসেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খানসহ প্রকৌশলী ও পেশাজীবীরা নেতৃবৃন্দ ছিলেন।