ইস্কাটন গার্ডেনের লেডিস ক্লাবে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (অ্যাব) আয়োজিত অ্যাবের উদ্যোগে এই ইফতার মাহফিল হয়। এতে লন্ডন থেকে স্কাইপে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রকৌশলীসহ পেশাজীবীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।
গ্যাস-বিদ্যুৎ-নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের প্রতিবাদে এবং সরকার পদত্যাগের ১০ দফা দাবিতে বিএনপি সারা দেশের থানা-উপজেলা পর্যায়ে বিকাল তিনটা থেকে ৫টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি ছিল। এই কর্মসূচি প্রত্যেক জায়গায় বাধার অভিযোগ তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, সব জায়গায় আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগরেই গ্রেপ্তার হয়েছে প্রায় ৫০ জনের মতো। যশোরের শার্শাতে কর্মসূচি শুরু করার আগেই পুলিশের সামনে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করে। যশোরের সাধারণ সম্পাদককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছে, মফিকুল ইসলাম তৃপ্তিসহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে। একইভাবে নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, রমজান মাসে তারা (ক্ষমতাসীনরা) অনেক মারমুখি হয়ে উঠেছে। ইতিপূর্বে তারা নাটোরে একই ঘটনা ঘটিয়েছে, যশোরে ঘটিয়েছে, খুলনাতেও ঘটিয়েছে। একই সঙ্গে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। এর মূল কারণ যারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়, তারা কাওয়ার্ড সরকার। কাপুরুষ বললে হয়তো সঠিক হবে। তারা জনমতকে ভয় পায়। ভয় পায় বলে তারা জনগণের কোনো সমাবেশ করতে দেয় না, জনগণের সামনে দাঁড়িয়ে যে কথা বলবে সেই কথা তারা সহ্য করতে পারে না।
অ্যাবের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, আবদুল হাই শিকদার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, অ্যাবের মহাসচিব হাছিন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ইফতারে বিএনপি মহাসচিবসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ড্যাবের অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, জিয়া পরিষদের অধ্যাপক এমতাজ হোসেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খানসহ প্রকৌশলী ও পেশাজীবীরা নেতৃবৃন্দ ছিলেন।