বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে স্বাধীনতা-সচেতন নাগরিক সমাজ ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে শিক্ষক, সাহিত্যিক, কবি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিল্পী, সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই দাবি জানায়।
যে সমস্ত পত্রিকা ও অপশক্তি এসবে যুক্ত আছে তাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে সোচ্চার হতে ও সরকারকে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। মানববন্ধনে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের জোরালো বক্তব্য ও উপস্থিতি এ ধরনের অপশক্তিকে রুখতে সহায়তা করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর প্রচারিত সংবাদকে শুধু অপসাংবাদিকতা বা হলুদ সাংবাদিকতা বলা যাবে না, এটির মাধ্যমে আঘাত এসেছে আমাদের স্বাধীনতার মর্যাদার ওপরে। স্বাধীনতা দিবসে যেভাবে একটি খবর পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে সেটার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। এই খবরটি করা হয়েছে অত্যন্ত উদ্দেশ্যমূলকভাবে। ধারাবাহিকভাবে ষড়যন্ত্র চলছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে।’
মানববন্ধনে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা বাদী সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমি দেশকে ভালোবাসি তাই মুক্তিযুদ্ধকে ভালোবাসি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর কোনো আঘাত আসুক, তা আমি চাই না। প্রথম আলো যা করেছে সেটার জন্য প্রথম আলোকে কালো তালিকাভুক্ত করে এর নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানাই।’
মানবন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
বক্তারা প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে শাস্তি প্রদান ও পত্রিকাটিকে কালো তালিকাভুক্ত করে এর নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানান।