ঢাকারবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সেতুর টোলের আড়ালে কালো টাকা সাদা করার পাকা খেলোয়াড় ‘সোনা আবু’

নিজস্ব প্রতিবেদক | সিটিজি পোস্ট
এপ্রিল ৬, ২০২৩ ১:৪৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

হুন্ডি ও সোনা চোরাচালান সিন্ডিকেট অন্যতম হোতা আবু আহমেদ জামিনে বের হয়ে বাঁশখালীর একটি সেতু ইজারা নিয়ে নিজের কালো টাকা বৈধ করতে চান। তিন বছর আগেও তিনি নিজের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘ফরহাদ ট্রেডিং ‘ দিয়ে অস্বাভাবিক মুল্য সেতুটি ইজারা নেন। হাইকোর্টের নির্দেশে তাকে গ্রেফতার করার পর বেশ কিছুদিন ধরে জেলে আছেন তিনি। সুত্রমতে, আদালত থেকে যে কোন মুল্যে  জামিন নিয়ে তৈলারদ্বীপ সেতুর ইজারা নিয়ে পুনরায় কালো টাকা বৈধ করার কৌশল নিয়েছেন তিনি।

 

অনুসন্ধানে জানা যায় , চট্টগ্রামের রেয়াজউদ্দিন বাজারভিক্তিক হুন্ডি ও মধ্য প্রাচ্যের দেশ থেকে সোনা চোরাচালান করে হাজার কোটি টাকা উপার্জন করেছেন চট্টগ্রামের  আবু আহমেদ। ঝাল মুড়ি বিক্রেতা থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী বনে যাওয়া আবু আহমেদকে চট্টগ্রামের  সাধারণ মানুষ  চিনে ‘সোনা আবু ‘ হিসেবেই। আর স্থানীয়  ব্যবসায়ীদের কাছে তিনি পরিচিত হুন্ডি আবু হিসেবে। সিআইডি তথ্যমতে , ফটিকছড়ির আবু আহমেদ চট্টগ্রামে অর্থপাচার এবং সোনা ও অন্যান্য পণ্য চোরাচালানের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁর সম্পদের মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি ভবন, প্লট, বিলাসবহুল বাড়ি। দুবাইতেও তাঁর তিনটি দোকান রয়েছে। সিআইডি তদন্তে প্রমাণ মিলেছে ফরহাদ ট্রেডিং, রিয়াল ট্রেডিং, নাইস টেলিকম সেন্টার, রূপা টেলিকমিউনিকেশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ২১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলেন আবু আহমেদ। এসব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট লেনদেন হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা।

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, ফরহাদ ট্রেডিং সাইনবোর্ড ব্যবহার করে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ মুল্যে বাঁশখালীর তৈলার দ্বীপ সেতুর ইজারা নেন আবু আহমেদ। মুলত সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিপুল পরিমাণ ঘুষ দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নিতে সাড়ে ২৪ কোটি টাকায় সেতুটির ইজারা নেন ২০১৯ সালে। যদিও এর আগের মেয়াদে সড়ক ও জনপদ বিভাগ একই সেতুর ইজারা দিয়েছিলেন ১২ কোটি টাকায়।

 

সওজ’র দাপ্তরিক তথ্যমতে চট্টগ্রামের পোর্ট এক্সেস রোডটি বাঁশখালীর তৈলার দ্বীপ থেকে বহুলাংশে ব্যস্ত টোল প্লাজা। পোর্ট এক্সেস সড়কে টোল আদায়ের শুরু থেকে প্রায় দেড় দশক শেষ হলেও বিগত বছর গুলোর কোন মাসে ৫০ থেকে ষাট লাখের বেশি টোল আদায় হয়নি। কিন্তু ২০২০, ২০২১,২০২২ অর্থবছরে কম দৈর্ঘের তৈলারদ্বীপ সেতুর ইজারা নিয়ে ফরহাদ ট্রেডিং ( আবু আহমেদের প্রতিষ্ঠান)  টোল আদায়  দেখিয়েছেন প্রায় সাড়ে সাড়ে আট কোটি টাকা। যা স্বাভাবিকের চেয়ে  অন্তত বিশগুন বেশি।

 

সুত্রমতে, তিন বছর বাঁশখালীর তৈলারদ্বীপ সেতুর ইজারাদার হিসেবে তিনি যত টাকা লস করেছেন তারচেয়ে পাঁচগুণ টাকা বৈধ করেছেন । নিজের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ফরহাদ ট্রেডিংয়ের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে তিন বছরের জন্য  সেতুটির ইজারা নিলেও  উপ ইজারাদার হিসেবে টোল আদায় করেছেন পূর্বের ঠিকাদারই।

 

সরেজমিনে, টোল আদায়ের সাথে জড়িত কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা কখনোই আবু আহমেদকে দেখেন নি। তিনবছর আগের ঠিকাদারই বেতন পরিশোধ করেছেন। বাঁশখালী উপজেলা সদরে যাবার পথে এই সেতুর টোল আদায় করতে হয় ট্রাক, মাইক্রো, সিএনজি অটো রিকসা। টোল হিসেবে প্রতিদিন এক লাখ টাকা আদায় করা যেখানে অসম্ভব সেখানে ‘আবু আহমেদ ‘ দৈনিক প্রায় ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা টোল আদায় দেখিয়েছেন। টোল আদায়ে নিয়োজিত কর্মচারীদের বেতন ভাতা যোগ করলে সেটি অতিক্রম করবে তিন লাখের ঘর।

 

পুলিশের নথি অনুযায়ী ২০২০ সালের ১৮ মার্চ   ২৪০ কোটি ৫ লাখ ১২ হাজার ১৬০ টাকা পাচারের অভিযোগে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় আবু আহমেদের বিরুদ্ধে  মামলা করেন সিআইডির উপপুলিশ পরিদর্শক হারুন উর রশীদ।

 

ফটিকছড়ির জাফতনগর এলাকার ফয়েজ আহমেদ ওরফে বালী সওদাগরের ছেলে আবু আহমেদ ওরফে আবুসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে করা সেই মামলার তদন্তে নেমে সিআইডি পায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। হুন্ডি ব্যবসায়ী ও স্বর্ণ চোরাকারবারী আবু আহাম্মদের সম্পদ অনুসন্ধান করে অবৈধভাবে অর্জিত ৭২১ কোটি ১৭ লাখ টাকার প্রমাণ পেয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।এ বিষয়ে সম্প্রতি আদালতে একটি চার্জশিট দিয়েছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

 

মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির  বলেন, “এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এতে অবৈধভাবে অর্জিত ৭২১ কোটি ১৭ লাখ ৩৯ হাজার টাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে মোট ২১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।”

 

অনুসন্ধানে জানা যায়  একসময় তার পিতার সিগারেটের দোকান ছিল। এরপর তিনি গ্রামে মুড়ি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। একপর্যায়ে দুবাইয়ে চলে যান তিনি। এরপর স্বর্ণ চোরাচালান ও অবৈধ হুন্ডি ব্যবসায়ে জড়িয়ে পরেন আবু। পরিচিতি পান ‘ সোনা আবু ‘ হিসেবে।

 

বর্তমানে কারাগারে থাকা আবু কালো টাকা কিভাবে সাদা করেছে সেই অনুসন্ধানে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সুত্রমতে, তার বিরুদ্ধে মামলার অনুসন্ধান চলাকালীন সময়ে বাঁশখালীর একটি সেতুর ইজারা নিয়ে এআইটি ( এডভান্স ইনকাম ট্যাক্স) হিসেবে কর পরিশোধের সুযোগ নেন আবু। দ্বিগুণ মুল্য টেন্ডারে অংশ নিয়ে এমন কৌশল ব্যবহার করতে সড়ক ও জনপদ বিভাগের দোহাজারীর নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ৷ তিন বছর মেয়াদের শেষ হবার কারনে নতুন দরপত্র আহবান করা হয়েছে। কিন্তু জেলে থাকার কারণে প্রথম তিনটি দরপত্রে তিনি অংশ নিতে পারেন নি। প্রথম দুটি আহবানে কোন প্রতিষ্ঠানই দরপত্রে অংশ গ্রহন করে নি। সুত্রমতে,  তৃতীয় দফায় দরপত্র আহবান করা হলে পঁচিশ কোটি চল্লিশ  লাখ টাকা প্রস্তাব করেছে আরেকটি প্রতিষ্ঠান।  জেলখানায় বসেই কালো টাকা বৈধ করার অস্ত্র হিসেবে সেতুটির দরপত্রের চতুর্থ আহবানে পুনরায়  অংশ নেবার সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছেন আবু। যদিও ২০১৪ সালের টোল আইন অনুযায়ী  রাষ্ট্রবিরোধী বা কোন ফৌজদারি মামলা চলাকালীন সময়ে কোন ব্যক্তি ইজারাদার যোগ দানের সুযোগ নেই৷

 

কোতোয়ালী থানায় করা মামলাটির এজাহারে বলা হয়েছে , আসামিরা একে অপরের সহায়তায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কয়েকটি ব্যাংক হিসাব (২১টি) নম্বরে ১২ বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সোনা চোরাচালান, চোরাই ও অন্যান্য দ্রব্যের অবৈধ ব্যবসা ও হুন্ডির মাধ্যমে ২৪০ কোটি টাকা পাচারের অর্থ দিয়ে গাড়ি, বাড়ি, মার্কেটসহ বিভিন্ন সম্পত্তি অর্জন করেছেন। ব্যবসায়ী হিসেবে হিসেবে নামসর্বস্ব ২১ টি প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক হিসাব খুলে নির্বিঘ্নে হুন্ডি কারবারে হাত পাকিয়েছেন ‘আবু আহমদ ‘।

 

এরআগে হাইকোর্টের দুই বিচারকের স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনায় ধরা পড়ার পর ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (ফৌজদারি-২) বাদি হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় আবু আহমদসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তাতে দমে যান নি আবু আহমেদ। বিচারকের স্বাক্ষর জাল করেও পার পেয়ে যান। পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে ছয় বছর নিরাপদে চট্টগ্রামের  রেয়াজউদ্দিন বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় হুন্ডির শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেন ‘ সোনা আবু ‘। সুত্রমতে, সিআইডির চোখ ফাঁকি দিয়ে ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত  চট্টগ্রামের  বাঁশখালীর তৈলারদ্বীপ সেতুর ইজারাসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর ব্যবসায় বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন তিনি। সুত্রমতে,  ষোলশহর দুই গেট এলাকার একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় টাকা বিনিয়োগ করেন তিনি। সেই রেস্তোরাঁর মালিকের বাড়িও আবু আহমেদের একই এলাকায় ( ফটিকছড়ি)। আবু আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা হবার পরপর সেই রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী দুবাইয়ে পাড়ি জমান। সেখানে প্রমোদ তরী, আবাসন খাতে বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ করেছেন আবু আহমেদের সেই সহযোগী।

 

দীর্ঘ দুই বছর সেতুর ইজারাদার হিসেবে অবৈধ  টাকা সাদা করে আইনজীবীর মাধ্যমে আবু আগাম জামিন চান ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর।  আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে।  রাষ্ট্রপক্ষের পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী সেই জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতকে জানান, ‘সকলকে উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুসরণ এবং মেনে চলতে হবে। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে অসুস্থতার কথা বলে কালক্ষেপণ করছেন আসামি। তাকে নতুন করে সময় দেওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। ‘

 

এর পরিপ্রেক্ষিতে আসামির সময়ের আবেদন ও জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দেন আদালত।

 

সড়ক ও জনপদ বিভাগের একাধিক সুত্রমতে, দ্বিগুণ মুল্যে সেতুটির ইজারা নেবার পাশাপাশি  আবু আহমেদ বিভিন্ন ঠিকাদারের সাথে ব্যবসায়ীক চুক্তি করে অর্থলগ্নী করতে থাকেন। সড়ক ও জনপদ বিভাগের সেই নির্বাহী প্রকৌশলী একাজে তাকে সুযোগ তৈরি করে দেন। সুত্রমতে, তিনবছরে প্রায় একশ কোটি টাকা বৈধ করেছেন আবু আহমেদ।

 

সুত্রমতে, মামলায় বার বার সময়ের আবেদন করে সেতু ইজারার তিন বছর মেয়াদ পার করেন আবু আহমেদ।  জামিন পাওয়ার পেয়ে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে একাধিকবার সময় নেন আবু আহম্মদ। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে এই হুন্ডি ও সোনা চোরাকারবারি গ্রেফতার করা হয়। আইনের ফাঁকফোকর জামিনে বের হয়ে পুনরায় হুন্ডি কারবার ও সোনা চোরাচালানের মতো অপরাধ সাম্রাজ্য সামাল দিতে চান ‘সোনা আবু ‘। জানতে চাইলে এডভোকেট আকতার উল কবির বলেন, ‘ আইনের ব্যতয় ঘটিয়ে  রাষ্ট্রের সেতু ইজারা বা কোন ব্যবসায়  অস্বাভাবিক লগ্নি করার সুযোগ দেয়া মানে অর্থপাচার ও চোরাচালানকে বৈধতা দেয়া। ‘

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে,  হুন্ডির মাধ্যমে ২০২২ সালের জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত  প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) বিতরণ হয়েছে। হুন্ডির কারনে দেশ বছরে প্রায় ৭৮০ কোটি মার্কিন ডলার বা ৭৫ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

 

রাষ্ট্রীয় একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, পণ্য আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে কারসাজি করে যে অর্থ পাচার হয়, সেই অর্থের অঙ্কটা উদ্বেগজনক। আর পাচার করা অর্থের বেশিরভাগই কানাডা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও দুবাই চলে যাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ-বিদেশি বিনিয়োগ উন্মুক্ত করে দেয়ায় পাচারকারীরা টাকা পাচারে ওইসব দেশকে বেছে নিচ্ছে। সেখানে আবাসিক ভবন, জমি কেনা, হোটেলসহ বিভিন্ন ব্যবসায় এসব টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এছাড়া যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মধ্যে ইংলিশ চ্যানেলের মতো ছোট দ্বীপরাষ্ট্রগুলোতেও অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। পাচারের টাকা যাচ্ছে বিদেশের নামি-দামি ক্যাসিনোতেও। একশ্রেণির ব্যবসায়ী, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, আমদানিকারক ও মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারসহ ১৫০ ব্যবসায়ী হুন্ডি কারবারে জড়িত। এ কারণে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকেও সরকার বঞ্চিত। দুদক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে দেশে টোল আদায়ের মতো নগদ অর্থ সংশ্লিষ্ট খাতে  অলাভজনক বিনিয়োগ জেনেও অস্বাভাবিক অর্থ  বিনিয়োগ করছেন  আবু আহমেদের মতো হুন্ডি ব্যবসায়ীরা।