ঢাকারবিবার, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি লাভলুর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার চায় ‘ র‍্যাক’

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
মার্চ ৩০, ২০২৩ ৪:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চট্টগ্রামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দৈনিক যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি ও রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (র‍্যাক) সদস্য মাহবুবুল আলম লাবলুর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন।

 

বৃহস্পতিবার র‌্যাকের সভাপতি আহম্মদ ফয়েজ ও সাধারণ সম্পাদক জেমসন মাহবুব এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানান। একই সঙ্গে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক লাবলুর নামে ন্যাক্কারজনক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা প্রত্যাহার ও এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান তারা। পাশাপাশি প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

 

ওই বিবৃতিতে র‍্যাক নেতারা বলেন, সাংবাদিকদের ওপর উদ্দেশ্য প্রণোদিত এ ধরনের মামলা সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের ওপর ভয়াবহ হুমকি স্বরূপ। স্বধীন সাংবাদিকতা ওপর এই ধরনের উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়; তাই অনতিবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো এ কালাকানুন বিলুপ্ত করে সাংবাদিক মাহবুবল আলম লাবলুকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

 

গত ১৪ মার্চ ‘দুবাই ফেরত চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবর বাহিনীর দাপট, শাহ আলম সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি রেল’ শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে গতকাল (২৯ মার্চ) বুধবার সাইবার ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামে মামলাটি দায়ের করেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।

 

একই বিবৃতিতে সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে মধ্যরাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে র‍্যাক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভয়াবহ ব্যবহার স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। অনতিবিলম্বে নিবর্তনমূলক এই আইনটি বাতিল ও প্রথম আলো সম্পাদক ও প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানায় র‌্যাক।

 

বিবৃতিতে বলা হয়, সংবাদপত্রে প্রকাশিত কোন সংবাদে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান প্রেস কাউন্সিলে প্রতিকার পাবার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে তা করা হয়নি, যা গণমাধ্যমের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ করেছে।