সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জোবায়ের ইবনে হুমায়ূনকে মারধরের ঘটনায় সামনে আসে প্রলয় গ্যাং নামে একটি অপরাধী চক্র। সেই অপরাধী চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি আন্তঃহল তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল রউফ মামুনকে আহবায়ক এবং সহকারী প্রক্টর ড. এম এল পলাশকে সদস্য সচিব করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথিত ‘প্রলয় গ্যাং’ নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর উত্থানের কথা জানা যায়। কথিত এই গ্যাংয়ের সদস্যদের আচরণে বখাটেপনা ও উচ্ছৃঙ্খলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী এই গ্যাং কার্যক্রম কোনো ক্রমেই কাম্য হতে পারে না। এমতবস্থায় এই অপরাধী চক্রের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের অতিদ্রুত চিহ্নিত করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, স্যার এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম খান, কবি জসীম উদ্দীন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ, জগন্নাথ হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা, হাজী মুহম্মদ মহসিন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান, বিজয় একাত্তর হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আকরাম হোসেন, সূর্যসেন হল প্রভাস্ট অধ্যাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভূঁইয়া ও জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন।