বিমানের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বিমানের ই-মেইল সার্ভারে আক্রমণে ব্যবহৃত ম্যালওয়্যারের প্যাটার্নটিকে জিরো ডে অ্যাটাক বলা হয়। এটি আইটি কর্মকর্তা এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির তদন্তকারী কর্মকর্তারা আগে দেখেননি।’
তিনি বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তারা ম্যালওয়্যার আক্রমণের মূল কারণ এবং উত্স খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। এটি করার জন্য আরো তদন্তের প্রয়োজন।’
সূত্র জানায়, ‘জিরো ডে’ বাগ সফটওয়্যারের এমন দুর্বলতা যার বিষয়ে আগে অবগত থাকেন না সফটওয়্যারের নির্মাতা বা বিক্রেতা। ফলে এর মাধ্যমে সফটওয়্যারের ক্ষতি বা সিস্টেম থেকে ডেটা চুরি করা যায়।
এদিকে গতকাল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার জানিয়েছেন, বিকল্প ব্যবস্থায় বিমানের অপারেশনাল কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ই-মেইল আইডিগুলো মাইক্রোসফট ক্লাউড সার্ভিসের মাধ্যমে চালু আছে।
তিনি জানান, শনিবার বিমানের কিছুসংখ্যক কম্পিউটার ও সার্ভার ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে ওই দিন সন্দেহযুক্ত সার্ভারটিকে আইসোলেটেড করে রাখা হয়। ই-মেইল সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিকল্প ব্যবস্থায় বিমানের অপারেশনাল কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ই-মেইল আইডিগুলো মাইক্রোসফট ক্লাউড সার্ভিসের মাধ্যমে চালু আছে।
তিনি বলেন, ‘বিমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮, ধারা-১৫ অনুসারে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো অধীনে তফসিলভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান। বিধায় ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি কর্তৃক প্রদত্ত কারিগরি দিকনির্দেশনার আলোকে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।’