ঢাকারবিবার, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভারতকে আত্মঘাতী গোলে হারাল বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
মার্চ ২৪, ২০২৩ ১১:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রেফারির শেষ বাঁশি বাজা মাত্রই মাঠে দৌড়ে নামলেন বাংলাদেশি খেলোয়াড়েরা। কেউ কেউ পানি ছিটালেন খুশিতে। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ম্যাচে অপ্রত্যাশিতভাবে জয় পাওয়ার আনন্দে বাংলাদেশের উদ্‌যাপনটা হলো বাঁধভাঙা।

অনূর্ধ্ব-১৭ নারী সাফে রাশিয়া থাকলেও টুর্নামেন্টে সবচেয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস ছিল বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে। কিন্তু একটা সময় পর্যন্ত এতটাই ঢিলেঢালাভাবে এগোচ্ছিল ম্যাচ যেন মনে হচ্ছিল গোল পাবে না কেউ। কেউ কাউকে হারাতে পারবে না বাংলাদেশ-ভার‍ত। রোমাঞ্চকর ম্যাচ তাঁর রোমাঞ্চ ছড়াল শেষভাগে এসে। আত্মঘাতী গোলে ১-০ ব্যবধানে ভারতের মেয়েদের হারাল গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ভারতকে হারিয়ে শিরোপার সম্ভাবনা এখনো জাগিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচে এক হারে ৬ পয়েন্ট বাংলাদেশের। দুই ম্যাচে সমান পয়েন্টে শীর্ষে রাশিয়া। আজ দিনের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ৯-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে রুশ মেয়েরা।

রাশিয়া ম্যাচের থেকে চার পরিবর্তনে ভারতের বিপক্ষে দল সাজান বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। পরিবর্তিত দলটাই ম্যাচের ৫ মিনিটেই পেয়েছিল দারুণ সুযোগ। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে পূজা দাসের ক্রস থেকে শট নেওয়ার সুযোগ ছিল সুরভি আক্তার প্রীতি। সুরভি হাতছাড়া করলে শট নেন সুলতানা আক্তার। তাঁর মাটি কামড়ানো শটে বল চলে যায় পোস্টের বাইরে থেকে।

রক্ষণের ভুলে গোল হজম করতে বসেছিল বাংলাদেশও। ১৬ মিনিটে অধিনায়ক রুমা আক্তার বক্সের বাইরে থেকে বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে শট নেন ভারতীয় ফরোয়ার্ড পূজা। স্বাগতিকদের ভাগ্য ভালো, শট লক্ষ্যে থাকেনি।

প্রথমার্ধে এক মিনিটে দুবার সুযোগ নষ্ট বাংলাদেশের। ৪০ মিনিটে বক্সের মুখ থেকে জয়নব বিবির মাটি কামড়ানো শট ঠেকান ভারতীয় গোলরক্ষক খুশি কুমারী। খানিক পরেই পোস্টের ওপর দিয়ে বল বাইরে পাঠান সুরভি।

খেলার ৫৪ মিনিটে আবারও সুযোগ নষ্ট স্বাগতিকদের। ৩৫ গজ দূর থেকে জয়নব বিবির বাতাসে বাড়ানো বল ফাঁকায় পেয়েছিলেন সাগরিকা। সেই শটে দুর্বল এক হেডে আবারও দলকে হতাশ করেন বাংলাদেশি ফরোয়ার্ড।

৬৮ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে বাংলাদেশের রক্ষণকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল ভারত। ফাঁকায় দাঁড়ানো ললিতা বয়পাই কর্নার থেকে পাওয়া বলে জোরালো শট নেন। তবে গতি থাকায় বল ঠেলতে পারেননি পোস্টে।

তবে ৭৩ মিনিটে অপ্রত্যাশিতভাবে ম্যাচে গোল পায় বাংলাদেশ। ডান প্রান্ত থেকে পূজা দাসের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে পোস্টে বল বাড়ান নাদিয়া আক্তার। উদ্দেশ্য ছিল বক্সে থাকা থুইনু মারমা। কিন্তু বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে হেডে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে বাংলাদেশকে গোল উপহার দেন ভারতীয় ডিফেন্ডার আখিলা রাজন।

পিছিয়ে পড়ে চোখ রাঙাচ্ছিল ভারত। ম্যাচের ৯০ মিনিটে বাংলাদেশ গোলরক্ষক সংগীতা রানী দাসকে একা পেয়েও গিয়েছিলেন ফরোয়ার্ড শিবানী দেবী। আগুয়ান শিবানীর শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে ভারতকে সমতায় ফিরতে দেননি বাংলাদেশ গোলরক্ষক। তাঁর এই পারফরম্যান্সে এতটাই খুশি হয়েছেন বাংলাদেশ কোচ ছোটন যে ম্যাচ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থ পুরস্কার দিয়েছেন বাংলাদেশ গোলরক্ষককে।