ঢাকাশনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় আন্তর্জাতিক আদালতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকি

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
মার্চ ২৩, ২০২৩ ৪:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রুশ নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ রাশিয়ান হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) হামলার হুমকি দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় এই হুমকি দিয়েছেন তিনি। 

মেদভেদেভ টেলিগ্রামে একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘হায়, সবাই সৃষ্টিকর্তা ও রকেটের অধীনে আছে…সতর্কতার সঙ্গে আকাশের দিকে তাকান। এটি চিন্তা করা সম্ভব যে সাগরে অবস্থানরত রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ থেকে একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হেগের আদালত ভবনে আঘাত করেছে।’

মেদভেদেভ অভিযোগ করেছেন, পুতিনের বিরুদ্ধে  আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার সিদ্ধান্ত ‘আন্তর্জাতিক আইনের জন্য ভয়ংকর পরিণতি’ বয়ে আনবে। তিনি আরো বলেন, এটা আইনের নীতির এবং ভিত্তির ধস। এখন কেউ আর আন্তর্জাতিক সংস্থায় যাবে না। সবাই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবে। জাতিসংঘ এবং অন্যান্য কাঠামোর নেওয়া সব বোকামী সিদ্ধান্তগুলো শুরুতেই ভেঙে পড়বে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের পুরো ব্যবস্থায় অন্ধকারাচ্ছন্ন পতন আসছে। এটা থেকে বিশ্বাস উঠে গেছে।

গত শুক্রবার আইসিসি ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রুশ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। কিয়েভের পক্ষ থেকে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিকে ‘ন্যায়বিচারের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন। আইসিসি বলেছে, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর পুতিন যুদ্ধের আন্তর্জাতিক নীতি লঙ্ঘন করেছেন। ইউক্রেনের শিশুদের জোরপূর্বক রাশিয়ায় নিয়ে গেছেন।

তবে জবাবে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘রাশিয়া রোম সংবিধির আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কোনো সদস্য নয় এবং এর নির্দেশ মানার জন্য বাধ্য নয়। রাশিয়া এ আদালতকে কোনো সহযোগিতা করে না। আন্তর্জাতিক আদালত থেকে আসা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আইনগতভাবে আমাদের কাছে ভিত্তিহীন।’

বিশ্বের ১২৩টি দেশ এই আদালতের সদস্য। বিধি অনুযায়ী, আইসিসি যখন কারো বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করবে এবং অভিযুক্ত যদি এই সদস্য দেশগুলোতে যান, তাহলে তাকে আটক করতে হবে এবং আদালতের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। আইসিসির নিজস্ব কোনো পুলিশ বাহিনী নেই। ফলে এই আদালত পুরোপুরি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপর নির্ভরশীল।

সূত্র : আনাদুলু