ঢাকারবিবার, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
মার্চ ১৭, ২০২৩ ১১:৫২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মধ্যদিয়ে উদযাপন করে।

 

কর্মসূচি শুরু হয় ১৭ মার্চ সকাল ৯.৩০ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মধ্যদিয়ে। এসময় বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসকসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, মহানগর ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল,সর্বস্তরের জনসাধারণ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর হোসেন আহসানুল কবীর’র নেতৃত্বে অফিসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মধ্যদিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর বিভাগীয় কমিশনার বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

 

পরে সকাল ১০.০০ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কেক কাটা হয় এবং ১০.১৫ টায় আলোচনা সভা শুরু হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হিসেবে বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার এস. এম. শফিউল্লাহ্, কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ. কে. এম. সরোয়ার কামাল। এতে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং মুক্তিযোদ্ধাসহ অসংখ্য ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে কিন্তু মুক্তির যুদ্ধ এখনো চলমান। আমাদের দেশে এমন কিছু মানুষ আছে যারা দেশের উন্নতি সহ্য করতে পারছেনা। তারা বিভিন্ন সময় গুজব ছড়িয়ে হোক বা অন্যান্য অপকর্মের মধ্যেদিয়ে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করার জন্য তৎপর হয়ে আছে। তাদের সফল হতে দেয়া যাবে না। বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে বুকে ধারণ করে কঠোর হাতে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

 

অনুষ্ঠান শেষে শিল্পকলা একাডেমি ও শিশু একাডেমিতে চিত্রাংকন, হাতের লেখা, নৃত্য ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গানের প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর বিভিন্ন পুস্তক ও ছবি প্রর্দশন করা হয় এবং বিভিন্ন মসজিদ ও ধর্মীয় উপসনালয়ে মিলাদ মাহফিল , দোয়া প্রার্থনা করা হয়।

এছাড়া সমাজসেবা কার্যালয় ও শিশু একাডেমিতে শিশু সদন, শিশু পরিবার ও শিশু বিকাশ কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।

১৬ ও ১৭ মার্চে ডিসি হিল, সিআরবি , টাইগারপাস ও জিসি মোড়ে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ সম্পর্কিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।