ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুই কারণে ছোলার দাম কমেছে। একটি হচ্ছে, অপ্রত্যাশিতভাবে স্থলবন্দর দিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ছোলা বাজারে চলে আসা। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, স্থলবন্দর থেকেই দেশের বিভিন্ন মফস্বলের ছোট মোকামে ছোলা পৌঁছে যাওয়া; যেটি আগে খাতুনগঞ্জ থেকেই বিক্রি হতো। এই দুই কারণে বিক্রি তো নেই-ই; দামও কমে গেছে।
পায়েল ট্রেডার্সের মালিক আশুতোষ মহাজন বলেন, ঋণপত্র জটিলতায় ছোলা আনতে সুযোগ পাচ্ছিল কেবল বড় শিল্প গ্রুপ বা ব্যাংকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরাই। সেই ধারণা পাল্টে এখন একসঙ্গে এত ছোলা আসায় বাজার পড়ে গেছে। ফলে প্রথমে যাঁরা বিক্রি করেছিলেন তাঁরা দাম পেয়েছেন, এখন উল্টো লস হচ্ছে।
খাতুনগঞ্জে ছোলা বিক্রিতে যে ধস নেমেছে তার প্রমাণ মিলেছে বিভিন্ন আড়তে গিয়ে। গতকাল খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজ, ডাল, তেলসহ অন্য আড়তে ভিড় দেখা গেলেও ছোলার আড়তে বিক্রি নেই। সেসব আড়তের সামনে ট্রাকের লাইন ছিল খুবই কম।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, পুরো বছরে ছোলার চাহিদা থাকে এক লাখ ২০ হাজার টন। আর রমজানে ছোলার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ইফতারি হিসেবে ছোলা এবং ছোলা দিয়ে তৈরি খাবারের জন্য প্রয়োজন হয় এক লাখ টন ছোলা।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের হিসাবে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছোলা এসেছে ৬৯ হাজার টন। এর বাইরে অবশ্য স্থলবন্দর দিয়ে কত ছোলা আমদানি হয়েছে তার হিসাব পাওয়া যায়নি।