ইতোমধ্যে তিস্তা লো ড্যাম প্রকল্প ১ ও ২ এবং বালাসন হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রকল্পের জন্য একটি বিশদ প্রতিবেদন তৈরির জন্য নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে পশ্চিবঙ্গ রাজ্য সরকার। দুটি প্রকল্পের সম্মিলিত ক্ষমতা ১০৯ মেগাওয়াট এবং আরো ১০টি ছোট জলবিদ্যুৎ প্রকল্প পাশের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে তিস্তায় উভয় দেশের সেচের চাহিদা মেটানোর মতো পর্যাপ্ত পানি নেই। তিস্তা চুক্তির বিলম্ব ঢাকার জন্য উদ্বেগের বিষয় হলেও দিল্লি ও কলকাতার সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
বাংলাদেশে পানি একটি মৌলিক সমস্যা। যদিও পরিকল্পিত জলবিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলো সবই রান-অব-দ্য-রিভার প্রকল্প, যার অর্থ জলবিদ্যুৎ তৈরির জন্য নেওয়া পানি আবার নদীতে ফেরত দেওয়া হয়। তিস্তার পানির স্বল্প আয়তনের ফলে উর্বর পলির প্রবাহ কমে গেছে। যার ফলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে শুষ্ক জমির বিশাল অংশ তৈরি হয়েছে যা চাষাবাদের জন্য অনুপযুক্ত।
পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের মতে, তাপবিদ্যুতের উপর নির্ভরতা কমাতে জলবিদ্যুতের ক্ষমতা বাড়ানো দরকার। প্রতিটি দেশের জন্য জলবিদ্যুৎ ক্রয় ও সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আদেশ জারি করা জরুরি।
সূত্র : টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া