চেজিংয়ে নেমে বাউন্ডারি মেরে রানের খাতা খোলেন লিটন দাস। তবে বেশি দূর যেতে পারেননি। ৯ রানে স্যাম কারেনের বলে সীমানায় ধরা পড়েন ফিল সল্টের হাতে। রান উঠছিল ধীরে। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে রনি তালুকদারকে (৯) হারিয়ে দ্বিতীয় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। শিকারি জোফরা আর্চার। ২৭ রানে নেই ২ উইকেট। পাওয়ারপ্লেতে আসে ৩২ রান। এরপর জমিয়ে ব্যাটিং করছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর তৌহিদ হৃদয়। দৃষ্টিনন্দন দুটি বাউন্ডারি হাঁকানো হৃদয় আউট হয়ে যান ১৮ বলে ১৭ রান করে। শান্ত খেলছিলেন দারুণ, রান তোলার চাপ নেই। ২২ রানে আম্পায়ার্স কলে লেগ বিফোর থেকে বেঁচে যান শান্ত। এক বল পরেই আদিল রশিদকে সীমানা ছাড়া করেন। পাঁচে নেমে শান্তর সঙ্গী মিরাজ। এই জুটিতেই জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। তৃতীয় ওভারেই দলীয় ১৬ রানে ব্রেক থ্রু দেন তাসকিন। তার বলে হাসান মাহমুদের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন ডেভিড মালান (৫)। ব্যাটিং লাইনআপ বদলে মঈন আলীকে নামানো হয় তিনে। পাওয়ারপ্লেতে আসে ৫০ রান। সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন অধিনায়ক সাকিব। তৃতীয় বলেই সাফল্য। অসাধারণ ফিরতি ক্যাচে ১৯ বলে ২৫ রান করা ফিল সল্টকে ফেরত পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপর মঞ্চে আসেন হাসান মাহমুদ। এই তরুণ পেসার আজও বোল্ড করে দেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারকে (৪)। মঈন আলীকে তিনে নামিয়ে লাভ হয়নি ইংলিশদের। ১৭ বলে ১৫ রান করা অলরাউন্ডারকে ফেরান একাদশে সুযোগ পাওয়া মেহেদী মিরাজ।
১৫তম ওভারে এসে এই স্পিনার জোড়া আঘাত হানেন। ওভারের দ্বিতীয় আর চতুর্থ বলে ফিরিয়ে দেন স্যাম কারেন (১২) আর ক্রিস ওকসকে (০)। দুজনকেই স্টাম্পড করে বড় কৃতিত্বের ভাগীদার উইকেটকিপার লিটন দাস। ৯১ রানে নেই ৬ উইকেট! মিরাজের চতুর্থ শিকার ক্রিস জর্ডান (৩)। শেষ ওভারে বেন ডাকেটকে (২৮) ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। অনেকটা দৌড়ে এসে অসাধারণ ডাইভে ক্যাচ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। চতুর্থ বলে রান আউট হয়ে যান রেহান আহমেদ (১১)। শেষ বলে জোফরা আর্চার (০) রান আউট হলে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। একটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, মুস্তাফিজ, সাকিব এবং হাসান মাহমুদ।