আজ শনিবার (১১ মার্চ) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে (আইইবি) উদ্যোগে ‘ভূমিকম্পজনিত দুর্যোগ বুঁকি হ্রাস : প্রস্ততি ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন৷
তিনি আরো বলেন, নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়েছে বহুগুণ। ফলে মানুষ মাননিয়ন্ত্রণে অনাগ্রহী হচ্ছে৷ ফলে যেকোনো সমস্যায় প্রকৌশলীদের সমাধান দিতে হবে৷ সমস্যার গভীরে যেতে হবে। তাহলে ভবিষ্যতে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলা করা যাবে।
আইইবির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুল হুদার বলেন, করোনার মতো যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রকৌশলীরা সবার আগে মাঠে কাজ করেন। প্রকৌশলীরা সরকারের উন্নয়নে অন্যতম কারিগরি ভূমিকা পালন করেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ভূমিকম্পের ঝুঁকি রোধে প্রস্তুতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নগরের সঠিক পরিকল্পনাই যথেষ্ট। ভবন নির্মাণে সাবধানতা অবলম্বন করলে ভূমিকম্পে ক্ষতি কমানো সম্ভব৷ ভবন নির্মাণে স্থানীয় নগরের নীতিমালা মেনে চলতে হবে৷ এ ছাড়া সরকারের সকল সংস্থাগুলোর নজরদারি জোর করাও প্রয়োজন। ভবন মালিকেরা সরকারকে সহযোগিতা করলে ভূমিকম্পের ক্ষতি কমানো সম্ভব৷ ভূকম্পের ওপর প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই৷ ভবনগুলোর মধ্যে অবশ্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং হাসপাতাল নির্মাণে ভূকম্পন সহনীয়ভাবে নির্মাণ করতে হবে।
সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান, খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, সহকারী সাধারণ সম্পাদক রনক আহসান, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম হাজারী, ঢাকা সেন্টারের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোল্লা মো. আবুল হোসেন, সম্পাদক কাজী খায়রুল বাসার, আইইবির পুরকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মুনাজ আহমেদ নূর, আরবান রিজিলিয়েন্স প্রজেক্ট, ইউএনডিপির পরামর্শক ব্রিগ্রে. জেনা. (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ খান, রাজউকের আরবান রিজিলিয়েন্স প্রজেক্ট পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল লতিফ হেলালী,ইঞ্জিনিয়ার অমিত কুমার চক্রবর্তী, ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার সৌমিত্র কুমার, ইঞ্জিনিয়ার ওয়াহিদ হুদাসহ আইইবির বিভিন্ন বিভাগ, সেন্টারের প্রকৌশলীরা।