বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মনিটরিং টিমের পর গুলশানের সুলতান’স ডাইনে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় সুলতান’স ডাইনে মাংস সরবরাহকারীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন অধিদপ্তরের লোকজন। এতে ২৫ কেজি খাসির মাংসের গরমিল পায় জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর।
এর ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে সোমবার (১৩ মার্চ) সকাল ৯টায় অধিদপ্তরের কার্যালয়ে মাংস সরবরাহকারীসহ সুলতান’স ডাইন কর্তৃপক্ষকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযান শেষে আবদুল জব্বার মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, সুলতান’স ডাইন কর্তৃপক্ষের বক্তব্যের সঙ্গে মাংস সরবরাহকারীর বক্তব্যে এবং কাগজপত্রের গরমিল পেয়েছি। তারা আপাতত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তাই তাদের আগামী সোমবার অফিসে এসে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। তারপর যদি কোনো ভুলত্রুটি পাই তখন সুলতান’স ডাইনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুলতান’স ডাইনকে (৯ মার্চ) ১২৫ কেজি খাসির মাংস বাকিতে সরবরাহ করেছে সরবহরাহকারী। মাংস প্রসেসিংয়ের সময় সুলতান’স ডাইনের কেউ না থাকলেও সরবরাহের সময় তাদের একজন প্রতিনিধি ছিলেন। তবে ৯ মার্চ কাগজে কলমে সুলতান’স ডাইন কর্তৃপক্ষ ১৫০ কেজি খাসির মাংস সরবরাহ করে রান্নার জন্য। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল সুলতান’স ডাইনের ম্যানেজার মো. আশরাফ আলমের কাছে জানতে চায় সরবরাহকারী ১২৫ কেজি সরবরাহ করলে বাকি ২৫ কেজি মাংস কার থেকে সংগ্রহ করেছে।
এর আগে দুপুরে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মনিটরিং টিমের অভিযানকালে সেখানে অননুমোদিত ফিরনি, কর্মীদের হাতে রোগ-জীবাণুসহ অপরিষ্কার পরিবেশ পাওয়া গেছে। এই পরিস্থিতিতে সুলতান’স ডাইনকে ২০ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে অসংগতি ঠিক করার জন্য বলেছে সরকারের সংস্থাটি।