ঢাকারবিবার, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সুলতান’স ডাইনে ২৫ কেজি খাসির মাংসের গরমিল

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
মার্চ ১০, ২০২৩ ৩:৪৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মনিটরিং টিমের পর গুলশানের সুলতান’স ডাইনে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় সুলতান’স ডাইনে মাংস সরবরাহকারীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন অধিদপ্তরের লোকজন। এতে ২৫ কেজি খাসির মাংসের গরমিল পায় জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর।

এর ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে সোমবার (১৩ মার্চ) সকাল ৯টায় অধিদপ্তরের কার্যালয়ে মাংস সরবরাহকারীসহ সুলতান’স ডাইন কর্তৃপক্ষকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুর ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত গুলশান-২ এর সামসুদ্দিন ম্যানশনে সুলতান’স ডাইন শাখায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান ও সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল, সহকারী পরিচালক মো. হাসানুজ্জামান ও সহকারী পরিচালক ফারহানা ইসলাম অজান্তা।

অভিযান শেষে আবদুল জব্বার মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, সুলতান’স ডাইন কর্তৃপক্ষের বক্তব্যের সঙ্গে মাংস সরবরাহকারীর বক্তব্যে এবং কাগজপত্রের গরমিল পেয়েছি। তারা আপাতত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তাই তাদের আগামী সোমবার অফিসে এসে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। তারপর যদি কোনো ভুলত্রুটি পাই তখন সুলতান’স ডাইনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুলতান’স ডাইনকে (৯ মার্চ) ১২৫ কেজি খাসির মাংস বাকিতে সরবরাহ করেছে সরবহরাহকারী। মাংস প্রসেসিংয়ের সময় সুলতান’স ডাইনের কেউ না থাকলেও সরবরাহের সময় তাদের একজন প্রতিনিধি ছিলেন। তবে ৯ মার্চ কাগজে কলমে সুলতান’স ডাইন কর্তৃপক্ষ ১৫০ কেজি খাসির মাংস সরবরাহ করে রান্নার জন্য। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল সুলতান’স ডাইনের ম্যানেজার মো. আশরাফ আলমের কাছে জানতে চায় সরবরাহকারী ১২৫ কেজি সরবরাহ করলে বাকি ২৫ কেজি মাংস কার থেকে সংগ্রহ করেছে।

সম্প্রতি সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্য প্রাণীর মাংস দিয়ে কাচ্চি বানানোর অভিযোগ তুলে ভিডিও ভাইরাল হয়। এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করতে সুলতান’স ডাইনের গুলশান শাখায় অভিযান পরিচালনা করে নিরাপদ খাদ্য এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এর আগে দুপুরে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মনিটরিং টিমের অভিযানকালে সেখানে অননুমোদিত ফিরনি, কর্মীদের হাতে রোগ-জীবাণুসহ অপরিষ্কার পরিবেশ পাওয়া গেছে। এই পরিস্থিতিতে সুলতান’স ডাইনকে ২০ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে অসংগতি ঠিক করার জন্য বলেছে সরকারের সংস্থাটি।