ঢাকাশনিবার, ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গুজব ঠেকাতে ইন্টারনেট বন্ধ পঞ্চগড়ে, গ্রেপ্তার ২৩

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
মার্চ ৫, ২০২৩ ১১:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক হামলার চেষ্টা করা হয় শনিবার রাতে। এরপরেই বিক্ষুব্ধ মানুষ লাঠিসোঁঠা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন এলাকা দিয়ে আহম্মদনগরের দিকে রওনা হয়। তাদের ঠেকাতে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। পুরো শহর ফাঁকা হয়ে যায় মুহুর্তেই। ছোটাছুটি করে মানুষজন বাড়ি ফিরতে থাকে। এর মধ্যেই রাত সাড়ে ১০টায় পঞ্চগড় ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় একটি সরকারি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।

এমনকি পঞ্চগড় বাজারে ওয়াকার শো-রুমে থাকা জুতোসহ সব মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে গুজবে কান না দিতে মাইকিং করা হয়। এরপরেই গ্রেপ্তার অভিযানে নামে পুলিশ। গুজব ছড়ানো, লুটপাট, হামলা ও অগ্নিসংযোগ করায় পঞ্চগড় পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলে রাব্বি, তেঁতুলিয়ার তরুণ রাব্বি ইমনসহ মোট ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ ছাড়া আহমদিয়া তরুণ জাহিদ হাসানকে হত্যার অভিযোগে ভিডিও ফুটেজ দেখে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন দক্ষিণ রাজনগর এলাকার ইসমাইল হোসেন (২৫) ও তুলারডাঙ্গা এলাকার রাসেল (২৮)।

বর্তমানে পঞ্চগড় সদর থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। একটি মামলা হয়েছে আহমদিয়া তরুণ জাহিদ হাসানকে হত্যার। এ ছাড়া পুলিশের উপর হামলা, সরকারি সম্পদ নষ্ট, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগে দুটি মামলা করেছে পুলিশ। তবে এসব মামলায় আসামি কারা এবং তাদের সংখ্যা কত তা জানাতে রাজি হয়নি পুলিশের কর্মকর্তারা।

এদিকে গুজব ঠেকাতে শনিবার রাত ১২টার পর থেকেই পঞ্চগড়ের মোবাইল অপারেটরগুলোর মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মোবাইলে শুধুমাত্র মোবাইল ফোনে কথা বলা যাচ্ছে।

পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে নাশকতার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এ ছাড়া তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব সৃষ্টিকারীদেরও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। আহমদিয়া তরুণ জাহিদ হাসানকে হত্যার ঘটনায় জড়িত দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা নিজেরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের দেওয়া তথ্য মতে অন্যদেরও গ্রেপ্তার করার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এখানে প্রত্যেকটি ঘটনায় আলাদা আলাদা মামলা হবে।