ঢাকাশনিবার, ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

টনি ব্লেয়ারের স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
মার্চ ৪, ২০২৩ ২:৪১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, টনি ব্লেয়ার ইন্সটিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারম্যান টনি ব্লেয়ার। আজ শনিবার স্পিকারের সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে সাক্ষাতকালে তাঁরা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে যুক্তরাজ্যের অবদান, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশ, বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

এসময় স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুদীর্ঘ ২৩বছর লড়াই-সংগ্রাম করেছেন দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। ১৯৪৮ সালে ভাষার জন্য শুরু হয় প্রতিবাদ-আন্দোলন, আর শেষ হয় ১৯৭১সালে মহান স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে। ১৯৭৫সালে জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে শুরু হয় বাংলাদেশের কালো অধ্যায়। কালো আইন সংযোজনের মাধ্যমে ১৯৭১সালের ৩০লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে রচিত সংবিধানের কাঁটা-ছেঁড়া। এরপরেও সহযাত্রীর মনোভাব নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের বিকাশে কাজ করে যাচ্ছেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ১৯৭৩ সালে মহান জাতীয় সংসদ যাত্রা শুরু করে। এবছর বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ পঞ্চাশ বছর পূর্তি উদযাপন করতে যাচ্ছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ গণতন্ত্র চর্চার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়। টনি ব্লেয়ার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন কমনওয়েলথ স্কলারশিপের অধীনে ইউনিভার্সিটি অফ এসেক্স হতে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনের স্মৃতিচারণ করেন স্পিকার।

বাংলাদেশকে যুক্তরাজ্যের অকৃত্রিম বন্ধু উল্লেখ করে টনি ব্লেয়ার বলেন, পপ সঙ্গীতের জনপ্রিয় ইংল্যান্ডের শিল্পী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে ১৯৭১ সালের ১আগস্ট ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ আয়োজন করে, যা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশ্ব জনমত গঠনে ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মাসেতু বাস্তবায়নসহ উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন, নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনজীবন সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিবেচনায় ডেল্টা প্লান ২১০০ গ্রহণসহ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এসময় বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় যুক্তরাজ্যের অধিকতর সহযোগিতা কামনা করেন স্পিকার।

বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন টনি ব্লেয়ার।