ঢাকাশনিবার, ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মুক্তির শর্ত অনুযায়ী রাজনীতি করতে বাধা নেই খালেদা জিয়ার : আইনমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩ ৭:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দুটি শর্ত অনুযায়ী, রাজনীতি করতে বাধা নেই। তবে যেহেতু তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত, সেহেতু তিনি সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচন করতে পারবেন না। আজ শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিনের জমশেরপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শত বছর উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী এসব কথা জানান।

আনিসুল হক বলেন, যে দুটি শর্তে দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, সেই দুটি শর্তে তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না—এমনটা বলা নেই। শর্ত দুটি হচ্ছে, তিনি (খালেদা জিয়া) ঢাকায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশ যেতে পারবেন না।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়া দুটি দুর্নীতি মামলার আসামি ছিলেন। একটি মামলায় বিচারিক আদালত তাঁকে পাঁচ বছর সাজা দিয়েছেন। আপিলে হাইকোর্ট দণ্ড বাড়িয়ে ১০ বছর করেছেন। আরও একটি মামলায় বিচারিক আদালত তাঁকে সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। যেহেতু তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত, সেহেতু তিনি সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচন করতে পারবেন না।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দর দরখাস্তে বলেছিলেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, তাঁর জীবন বিপন্ন। তাঁর সুচিকিৎসা প্রয়োজন। মানবিক কারণে তাঁর জামিন প্রয়োজন। সেই দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে তাঁকে মুক্তি দিয়েছিলেন।’

জমশেরপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শত বছর উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. নাছিরুল আলম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়টির প্রাক্তন ছাত্র ও ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যাপক মো. বদিউল আলম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সারোয়ার, বিদ্যালয়ের ৭৬ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শাহ আলম, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জয়নাল আবেদীন, প্রাক্তন ছাত্র মীর্জাপুর ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ মো. সফিকুল ইসলাম, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়াম্যান মো. মনির হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ছিদ্দিকা, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবদুল আজিজ, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. এমরান উদ্দিন, বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আলী আমজাদ হোসেন।

প্রধান অতিথির ভাষণে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আরও বলেন, একটি বিদ্যালয়ের এক শ বছর বারবার আসে না। আজকের দিনটি স্মরণীয় ও গর্বের। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীনের পর শিক্ষাব্যবস্থাকে উন্নতি করতে এ রকম প্রতিষ্ঠানই চেয়েছিলেন। বিদ্যালয়টি থেকে হাজার হাজার কৃতী শিক্ষার্থী বের হয়েছেন। যাঁরা আজকে উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। বর্তমান শিক্ষার্থীরা তাঁদের অনুসরণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আইনমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী ট্যানেলসহ বহু প্রকল্প তৈরি করেছেন। এসব ধরে রাখতে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন। তাঁরাই হবে উন্নত বাংলাদেশের নাগরিক।

বিদ্যালয়টির ১০০ বছর উপলক্ষে বিভিন্ন ব্যাচের প্রায় ২২ হাজার শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে নিবন্ধন করেছেন। দিনব্যাপী চলে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের উৎসব ও আনন্দ।