ঢাকাশনিবার, ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দেশে একনায়কতন্ত্র চলছে : জি এম কাদের

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩ ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

দেশ এখন পুরোপুরি একনায়কতন্ত্রে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। ধীরে ধীরে এ দেশকে একনায়কতন্ত্রের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দিন দিন দেশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। দুর্নীতি বাড়তে বাড়তে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে দেশে এখন দুর্নীতি ছাড়া কিছু নেই। রন্ধ্রে রন্ধ্রে এখন দুর্নীতি।’ 

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মানিকগঞ্জ-২ সিঙ্গাইর-হরিরামপুর আসনের সাবেক সদস্য সৈয়দ আব্দুল মান্নানের গ্রামের বাড়ি জামির্তায় পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জি এম কাদের আরো বলেন, ‘জাতীয় পার্টির অতীত ইতিহাস রয়েছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে আমরা প্রায় ৯ বছর দেশ শাসন করেছি। তখন দেশে সুশাসন, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র ছিল। বর্তমান সরকার ঔপনিবেশিক পদ্ধতিতে দেশ পরিচালনা করছেন। ‘ব্রিটিশ বা পাকিস্তানি সাম্রাজ্যবাদ পদ্ধতিতে দেশ চলছে। তারা শাসনের নামে শোষণের জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করত, আমরা সেই পদ্ধতিতে চলে গেছি। জনগণের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে দেশে জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা কার্যকর করা দরকার।

তিনি বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে সব দলকে সঙ্গে নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আমার বিশ্বাস হয় না।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার সব সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রথম কথা বৈষম্য দূর করা। কিন্তু ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে। এ ছাড়া সরকারি দল ও বেসরকারি দলের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করা হচ্ছে। সরকারি দলের লোকজন বিভিন্নভাবে ধনী হচ্ছেন এবং বাকি লোকেরা বঞ্চিত হচ্ছেন। দেশের মালিক জনগণ। জনগণই তাদের প্রত্যক্ষ ভোটে সরকার নির্বাচিত করবে। এটাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। সেটাও এখন ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।

জি এম কাদের বলেন,  দ্বাদশ সংসদ নিবাচনে আমরা ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেব। সেভাবেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেব। জাতীয় পার্টি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। সারা দেশে সমর্থক ও সংগঠন আছে। আমরা দলকে শক্তিশালী করতে কাজ করছি।

তিনি বলেন, আমরা সংসদ ও সংসদের বাইরে অনেকবার বলেছি, দেশের টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এটা বর্তমান সরকারের একটা বড় ব্যর্থতা। অর্থ পাচার বন্ধে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। এ ছাড়া পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকার চেষ্টা করেছে বলে আমরা বিশ্বাস করি না।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকার ব্যর্থ। জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও সাধারণ মানুষের আয় বাড়ছে না। ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। দেশের ৮০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছে। মানুষের আয় কমছে। পাশাপাশি দিনদিন বেকারত্বও বাড়ছে।

এসময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুর হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবদুল মান্নান, সাইফুদ্দিন মিলন, আসুদুর রহমান, সংসদ সদস্য আসিফ শাহরিয়ার, আদিলুর রহমান ও জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক হাসান সাঈদসহ দলটির কেন্দ্রীয় এবং জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।