শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মানিকগঞ্জ-২ সিঙ্গাইর-হরিরামপুর আসনের সাবেক সদস্য সৈয়দ আব্দুল মান্নানের গ্রামের বাড়ি জামির্তায় পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে সব দলকে সঙ্গে নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আমার বিশ্বাস হয় না।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার সব সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রথম কথা বৈষম্য দূর করা। কিন্তু ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে। এ ছাড়া সরকারি দল ও বেসরকারি দলের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করা হচ্ছে। সরকারি দলের লোকজন বিভিন্নভাবে ধনী হচ্ছেন এবং বাকি লোকেরা বঞ্চিত হচ্ছেন। দেশের মালিক জনগণ। জনগণই তাদের প্রত্যক্ষ ভোটে সরকার নির্বাচিত করবে। এটাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। সেটাও এখন ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা সংসদ ও সংসদের বাইরে অনেকবার বলেছি, দেশের টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এটা বর্তমান সরকারের একটা বড় ব্যর্থতা। অর্থ পাচার বন্ধে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। এ ছাড়া পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকার চেষ্টা করেছে বলে আমরা বিশ্বাস করি না।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকার ব্যর্থ। জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও সাধারণ মানুষের আয় বাড়ছে না। ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। দেশের ৮০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছে। মানুষের আয় কমছে। পাশাপাশি দিনদিন বেকারত্বও বাড়ছে।
এসময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুর হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবদুল মান্নান, সাইফুদ্দিন মিলন, আসুদুর রহমান, সংসদ সদস্য আসিফ শাহরিয়ার, আদিলুর রহমান ও জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক হাসান সাঈদসহ দলটির কেন্দ্রীয় এবং জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।