ঢাকাশনিবার, ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অংশগ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দায়িত্ব শুধু সরকারি দলের নয়, বিএনপিসহ সকলের -তথ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩ ১২:০৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতদের সাথে আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে যে বৈঠক হয়েছে সেখানে আবশ্যই আবাদ সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। আমরা চাই একটি অংশগ্রহনমূলক অবাধ সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী দিনের সরকার নির্বাচিত হোক। আগামী নির্বাচনকে অবাধ ও অংশগ্রহণযোগ্য করার ক্ষেত্রে সরকারি দলের যেমন দায়িত্ব আছে, বিএনপিসহ বিরোধী দলেরও দায়িত্ব আছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দায়িত্ব শুধু সরকারি দলের নয়, বিএনপিসহ সকলের।

আজ সকালে নগরীর দেওয়ানজী পুকুর পাড়স্থ নিজ বাসভবনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং কালে এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি যাবে না সে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থেকে পরে তারা নির্বাচনে গেছে। ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। অপচেষ্টার অংশ হিসেবে ৫ শত নির্বাচনী কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেশ কয়েকজন নির্বাচনী কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিলো। সুতরাং ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকে, সে দায়দায়িত্ব বিএনপি ও তার মিত্রদের।

ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিকভাবে দেশের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তার সাথে সাথে মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বাড়ছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশ এখন ৩১তম অর্থনীতর দেশ। আগামীতে বাংলাদেশের ক্রম আরও উপরে উঠবে। আমরা ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি তখন বাংলাদেশের ক্রম ছিল ৬০ (ষাট) তম। সেখান থেকে গত ১৪ বছরে জিডিপির বিচারের ২৫ টি দেশকে পিছনে ফেলে ৩৫ তম পিপিপি তে ৩১ তম দেশে উন্নীত হয়েছি। বাংলাদেশ ইকোনমিকালি ইমার্জিং টাইগার। সে জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সে আগ্রহের জায়গা থেকে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের আনাগোনা অতীতের তুলনায় বেড়েছে এবং এটা খুব স্বাভাবিক।

বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে তাদের আস্থা নেই এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। আর নির্বাচন তো সরকারের অধীনে হয় না, নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচন কালীন সরকার একজন পুলিশ কনস্টেবল বদলি করার ক্ষমতা রাখে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব শিক্ষিত মানুষ হয়েও কেনো মূর্খের মতো কথা বলেন সেটা আমার প্রশ্ন। তারা পাকিস্তানকে কেনো অনুকরণ করতে, সেটিও হচ্ছে প্রশ্ন। সকল সংসদীয় গনতন্ত্রের দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, ঠিক সেভাবে আগামী নির্বাচন হবে। নির্বাচনকালীন সময়ে চলতি সরকার দায়িত্ব পালন করবেন। পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখে কোন লাভ নেই।