রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ৩০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে একটি জাহাজ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে আসে। আরেকটি কয়লাবাহী জাহাজ ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি আসার কথা রয়েছে। প্রতিদিন কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালু রাখতে প্রয়োজন পাঁচ হাজার মেট্রিক টন কয়লা।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম আজ মঙ্গলবার বলেন, ‘কয়লার সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় আমরা আগামীকাল পুনরায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালু করতে যাচ্ছি। ৩০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি একটি জাহাজ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে ভিড়েছে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আরেকটি কয়লাবাহী জাহাজ এসে পৌঁছনোর কথা রয়েছে। কয়লা আমদানিতে এলসি জটিলতা এখন কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে।’
আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘৩০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে যে জাহাজটি এসেছে, সেই কয়লা দিয়ে মাত্র ছয় দিন কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালানো যাবে। কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালু রাখতে দৈনিক কয়লার প্রয়োজন পাঁচ হাজার মেট্রিক টন। পরবর্তীতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লাবাহী জাহাজটি এলে সেটি দিয়ে কেন্দ্রটি আরো ১০ দিন চালানো যাবে। ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি জাহাজ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জেটিতে ভিড়তে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে।’
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র জানায়, গত ১৫ আগস্ট বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করে। রাজধানীর বিদ্যুৎসংকট দূর করতে গত ১৭ ডিসেম্বর রাত থেকে জাতীয় গ্রিডে কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। এলসি জটিলতায় কয়লা আমদানি ব্যাহত হওয়ায় কয়লাসংকটে গত ১৪ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। কেন্দ্রটিতে কয়লা মজুদের সক্ষমতা রয়েছে তিন মাসের। নিয়ম অনুযায়ী এক মাসের কয়লা মজুদ রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও এত দিন কেন্দ্রটিতে কয়লার কোনো মজুদ ছিল না।