তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার ছুঁয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ হাজার ৮৯৪ জন মারা যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে সিরিয়ায় ১ হাজার ৯৩২ জন মারা গেছেন বলে জানানো হয়েছে। তবে এ সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়ে আছেন হাজার হাজার মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজারও ছাড়িয়ে যেতে পারে। এমন ভয়াবহ ভূমিকম্প ঘটতে পারে ভারতের বিভিন্ন শহরেও। যার মধ্যে অনেক শহরই রয়েছে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের তালিকায়।
ভারতের প্রায় ৫৯ শতাংশ ভূমি ভূমিকম্পপ্রবণ। এর মধ্যে রয়েছে আটটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বহু শহর। এই শহরগুলোকে জোন ৫-এ রাখা হয়েছে। এখানে সর্বোচ্চ তীব্রতার ভূমিকম্প হতে পারে।
ভারতের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং গত বছরের জুলাই মাসে এক লোকসভায় বলেছিলেন, দেশের সিসমিক জোনিং ম্যাপ অনুযায়ী মোট এলাকাকে চারটি সিসমিক জোনে ভাগ করা হয়েছে। সেই মোতাবেক জোন ৫-এ সব থেকে তীব্র ভূমিকম্প হয়। আর সব থেকে কম মাত্রার ভূমিকম্প হয় জোন ২-এ।
সেই রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে জোন ৫-এ রয়েছে ১১ শতাংশ অঞ্চল। জোন ৪-এ ১৮ শতাংশ অঞ্চল, ৩০ শতাংশ রয়েছে জোন ৩-এ। আর বাকিগুলো পড়ে জোন ২-এ। ভারতের মধ্য হিমালয় অঞ্চল বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল।
ভারতের সব থেকে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ ও জোন ৫-এ থাকা শহরগুলো যে রাজ্যে অবস্থিত, সেগুলো হলো- গুজরাত, হিমাচল প্রদেশ, বিহার, অসম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, জম্মু ও কাশ্মীর এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি ভারতের নোদাল সরকারি সংস্থা ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ করে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে। এই রিপোর্ট অনুসারে ভারতের দিল্লি তিনটি সক্রিয় সিসমিক ফল্ট লাইনের কাছাকাছি অবস্থিত, সেগুলো হলো- সোহনা, মথুরা এবং দিল্লি-মোরদাবাদ।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুরুগ্রাম দিল্লি-এনসিআরের সব থেকে ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা। কারণ এটি সাতটি ফল্ট লাইনে অবস্থিত। এগুলো সক্রিয় হলে উচ্চ তীব্রতার একটি ভূমিকম্পে ধ্বংস হতে পারে বিস্তীর্ণ এলাকা।