বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য ভারতের ঝাড়খণ্ডে আদানি গ্রুপ নির্মিত ১৬০০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের বিদ্যুৎকেন্দ্র। কেন্দ্রটির একটি ইউনিট থেকে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, আগামী মাসেই দেশে আসছে আদানির বিদ্যুৎ। এই বিদ্যুতের দাম নিয়ে কোনো সমস্যা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আজ রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি আরো বলেন, আগামী এপ্রিলে আদানির বিদ্যুতকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও বিদ্যুৎ পাবে বাংলাদেশ।
পিজিসিবি সূত্রে জানা যায়, আদানির বিদ্যুৎ দেশে আমদানির জন্য এরই মধ্যে ভারত সীমান্তবর্তী মনাকষা থেকে রহনপুর পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এই সঞ্চালন লাইন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২২৬ কোটি টাকা।
ভারত থেকে আসছে ১১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ : বর্তমানে ভারত থেকে এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে বিপিডিবি। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আসছে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এবং ত্রিপুরা দিয়ে কুমিল্লায় আসছে ১৬০ মেগাওয়াট। আদানির প্রথম ইউনিটের ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত করা গেলে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পরিমাণ দাঁড়াবে এক হাজার ৯৬০ মেগাওয়াটে। আর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পুরো সক্ষমতা (এক হাজার ৪৯৫ মেগাওয়াট) গ্রিডে সরবরাহ হলে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে দুই হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াটে, যা দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ১০ শতাংশ। আদানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরো ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আগামী এপ্রিলে বাংলাদেশে আসতে পারে।