আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আসছেন। সফরকালে তিনি বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার দূতাবাস উদ্বোধন করবেন। এ ছাড়াও তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আসছেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো। পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি দূতাবাস উদ্বোধন করবেন তিনি। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে বৈঠক করবেন।
এদিকে, বাংলাদেশে দূতাবাস খোলার পূর্বপ্রস্তুতির অংশ হিসেবে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত আর্জেন্টিনা দূতাবাসের উপরাষ্ট্রদূত ফ্রাঙ্কো সেনিলিয়ানির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আজ সোমবার ঢাকায় আসছে।
বাংলাদেশে বরাবরই আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের একনিষ্ঠ ভক্ত-সমর্থক ছিল। তবে কাতার বিশ্বকাপে দলটির প্রতি বাংলাদেশিদের অপরিসীম আবেগ-অনুরাগ বিশ্ববাসীর মনোযোগ কেড়েছে। কাতার বিশ্বকাপে মেক্সিকোর বিপক্ষে মেসির গোলের পর উল্লাসরত বাংলাদেশি সমর্থকদের একটি ভিডিও ফিফার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করার পর তা বিশ্ববাসীর নজর কাড়ে। ভিডিওটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আর্জেন্টিনার বিভিন্ন গণমাধ্যমেও ঘটনাটি ফলাও করে প্রচার করা হয়।
পরে আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে টুইট করে বলা হয়, ‘আমাদের দলকে সমর্থন করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ! ওরা (বাংলাদেশিরা) আমাদের মতোই পাগল!’
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ ফুটবলের শিরোপা জয়ের পর অভিনন্দন জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজকে চিঠি পাঠান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অভিনন্দনবার্তার জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো। চিঠিতে আলবার্তো বলেন, ২০২৩ সালে ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস স্থাপনের মাধ্যমে দুই দেশের জনগণ ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির দৃঢ়বন্ধনে আবদ্ধ হবে বলে মনে করেন তিনি।
ফিফা বিশ্বকাপ-২০২২ এর শিরোপা জয়ের পরপরই দুই দেশের সরকার প্রধানের শুভেচ্ছা-বার্তা বিনিময় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফসল ও দক্ষিণ আমেরিকাতে বাংলাদেশের একটি বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এর আগে ব্রাজিলে বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস চালু হলে দক্ষিণ আমেরিকাতে বাংলাদেশের বাণিজ্য-বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সয়াবিন উৎপাদক দেশ আর্জেন্টিনা থেকে সয়াবিন তেল আমদানি সহজতর হবে। সেই সঙ্গে ‘মারকসুরের’ বাণিজ্য বাজারে বাংলাদেশের প্রবেশ তরান্বিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।