উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়নে অতিদরিদ্র এবং দরিদ্রদের জীবনমান উন্নয়নের বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
রোববার জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী (ইউএনডিপি)’র একটি প্রতিনিধি দলের সাথে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মেয়র বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে চট্টগ্রামের উন্নয়ন কার্যক্রমে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। চসিককে প্রতিদিন জলবায়ু উদ্বাস্তুদের সাথে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকা হিসেবে সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে জলাবদ্ধতা, বন্যা ও নোনা জলের কারণে ফসলি জমি নষ্ট হওয়ার সমস্যাও মোকাবিলা করতে হচ্ছে চট্টগ্রামকে। এ প্রেক্ষাপটে চট্টগ্রামের যে কোন উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে অতিদরিদ্র ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বার্থের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।
“আমি স্বল্প ব্যয়ে অতিদরিদ্র মানুষদের আবাসন ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চাই। প্রতিটি দরিদ্র শিশু যাতে শিক্ষা এবং সুন্দর শৈশব উদযাপন করতে পারে তা নিশ্চিত করতে চাই আমি। চট্টগ্রামবাসীর উন্নয়নে যে বিপুল কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছি তা সফল করতে ইউএনডিপিকে পাশে চাই।”
ইউএনডিপির বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলার বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে ইউএনডিপি মধ্যস্ততাকারীর ভ‚মিকা পালন করতে পারে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন উন্নয়ন সংক্রান্ত যে কোন প্রস্তাব দিলে দাতা সংস্থাগুলোর সাথে মধ্যস্ততা করে ফান্ড আনতে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে ইউএনডিপি সহায়তা করতে আগ্রহী।
এর আগে ইউএনডিটির প্রতিনিধি দলটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে বাস্তবায়নাধীন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প এলাকাভুক্ত ৯ নং ওয়ার্ডের বিজয়নগর ছড়ার পাড় সিডিসি পরিদর্শনে যান। দলটি কমিউনিটিতে পৌঁছালে তাদেরকে স্থানীয় উপকারভোগীরা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের অগ্রগতি সমূহের বিবরণ দেন। তারা প্রকল্পের আওতায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি সহ জলবায়ু সহিষ্ণু ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে যেসকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তা তুলে ধরেন। দলটি প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং উপকারভোগীদের সাথে মত বিনিময় করেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়িত রাস্তা, ড্রেন, টয়লেট, ডিওয়াটস, নিরাপদ পানি এবং দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ, শিক্ষা উপবৃত্তি ও আয়বৃদ্ধিমূলক অনুদান নগরের দরিদ্র মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনে ফলপ্রসূ ভ‚মিকা রাখছে দেখে তারা উচ্ছাস প্রকাশ করেন।
প্রকল্প পরিদর্শনের পর তারা মেয়র কার্যালয়ে চলমান প্রকল্প সম্পর্কে জানাতে আসেন। এসময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, ইউএনডিপি’র সহকারি আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন, প্রকল্প ব্যবস্থাপক যুগেস প্রাধানাং, কির্তিজি পাহাড়ি, হুমায়ুন আহমেদ, প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার জনাব মোঃ সারোয়ার হোসেন খান এবং প্রকল্পের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।