ঢাকারবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আফিম উৎপাদন বেড়েছে মিয়ানমারে

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

গত বছর মিয়ানমারে আফিমের উৎপাদন বেড়ে ৭৯৫ মেট্রিক টন হয়েছে, যা গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং ২০২১ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘ বলছে, অর্থনৈতিক দুর্দশা ও নিরাপত্তাহীনতা এবং বিশ্ববাজারে আফিমের চড়া দামের জন্য এমনটা হয়েছে। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের জেরে মিয়ানমারের অধিকাংশ অঞ্চলে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে, যা এখনো অব্যাহত।

মিয়ানমারে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক কার্যালয়ের আঞ্চলিক প্রতিনিধি জেরেমি ডগলাস বলেন, ‘সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও শাসনব্যবস্থাজনিত সমস্যা একসঙ্গে দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া উত্তর শান ও সীমান্তবর্তী সংঘর্ষপ্রবণ অঞ্চলের কৃষকদের আফিম চাষে ফিরে যাওয়া ছাড়া তেমন বিকল্প ছিল না।’

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে মিয়ানমারের অর্থনীতি বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণভাবে বেশ কিছু ধাক্কা খেয়েছে। এসবের মধ্যে ছিল_রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অব্যাহত রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও মুদ্রাস্ফীতি। এসব কারণ আফিম চাষ বাড়াতে কৃষকদের উৎসাহ দেয়।

আফিমের জন্য মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও লাওসের সীমান্ত ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল’ নামে পরিচিত। এ অঞ্চলটি আফিম ও হেরোইন উৎপাদনের অন্যতম প্রধান উৎস।

আফগানিস্তানের পর বিশ্বের দ্বিতীয় আফিম উৎপাদক দেশ মিয়ানমার। মিয়ানমারের আফিমের বাজার ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো। এ ছাড়া আঞ্চলিক হেরোইনের বাজার প্রায় ১০ বিলিয়নের।

তবে বিকল্প শস্য প্রকল্প এবং অর্থনৈতিক সুযোগ উন্নয়নের ফলে গত এক দশকে মিয়ানমারে আফিমের চাষ কমে। কিন্তু জাতিসংঘের জরিপ অনুযায়ী, মিয়ানমারে আবারো আফিম উৎপাদন বেড়েছে। ২০২২ সালের আফিম উৎপাদন ২০১৩ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ। ওই বছর দেশটিতে ৮৭০ মেট্রিক টন আফিম উৎপাদন হয়েছিল।