র্যাব-৭ এর জালে ধৃত হয়েছে ৫ মাদক ব্যবসায়ী । এ সময় তাদের ব্যবহৃত ১ টি ফিশিং বোট উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী টেকনাফের শাপলাপুর এলাকা হতে একটি ফিশিং বোট যোগে ইয়াবা ট্যাবলেটের একটি বড় চালান নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে, র্যাব-৭, গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে এবং এক পর্যায়ে জানতে পারে যে, ফিশিং বোটটি কক্সবাজার জেলার বদরখালি হয়ে মগনামা দিয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালি অথবা আনোয়ারার দিকে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। পরবর্তীতে উক্ত বোটটিকে সনাক্ত করার জন্য র্যাব-৭, সমুদ্রপথে ব্যাপক গোপন নজরদারী কার্যক্রম বৃদ্ধি করে এবং সড়কপথে বিভিন্ন ফিশারীঘাটে নজরদারীতে থাকে। এই সময় র্যাব-৭ এর অবস্থান টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের বোটটি নিয়ে সুকৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব-৭ এর আভিযানিক দল স্থানীয় স্প্রীড বোটের সহায়তায় বোটটিকে ধৃত করার চেষ্টাকালে ফিশিং বোটটি দ্রুত বেগে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানাধীন মগনামা লঞ্চঘাটে থামানো সংগে সংগে ২৬ জানুয়ারী বিকেল ৫ টার সময় ৫ মাদক ব্যবসায়ী সহ ফিশিং বোটটি আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় র্যাব-৭ এর হাতে আটক হয় নুরুল আবছার (৩২), পিতা- মোঃ ছবির আলম, সাং-সিকদার পাড়া, থানা- কুতুবদিয়া, জেলা- কক্সবাজার, মোঃ মেহের আলী (৩৯), পিতা- মৃত জামাল উদ্দিন, সাং- কুতুবদিয়া পাড়া, থানা- কক্সবাজার সদর, জেলা- কক্সবাজার, আব্দুল হামিদ (৩৭), পিতা- নুরুল ইসলাম, সাং- উত্তর কুতুবদিয়া পাড়া, থানা- কক্সবাজার সদর, জেলা- কক্সবাজার, মোঃ কালু (২৩), পিতা- মৃত জামাল উদ্দিন, সাং- উত্তর কুতুবদিয়া পাড়া, থানা- কক্সবাজার সদর, জেলা- কক্সবাজার এবং নুরু হাসান (৩৩) (রোহিঙ্গা), পিতা- আবু তাহের, সাং- কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প, থানা- উখিয়া, জেলা- কক্সবাজার।
পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃতদের সহায়তায় ফিশিং বোটে রক্ষিত মাছ রাখার ড্রামের মধ্যে থেকে আসামীদের নিজ হাতে বের করে দেয়া সাদা পলিথিন দ্বারা মোড়ানো ইট সাদৃশ ২০টি ইয়াবার কার্ডে মোট ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
এসময় , গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা পরষ্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবত টেকনাফের সীমান্ত এলাকা হতে সাগর পথে মাদক জাতীয় দ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রয় করে আসছে। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, তারা এলাকায় বিভিন্ন কাজের আড়ালে দীর্ঘদিন যাবত মাদক পরিবহনের মত জঘন্য কাজ করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ছয় কোটি টাকা।
জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।