ঢাকাশুক্রবার, ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গাঁজা সেবনে কমবে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা, বলছে গবেষণা

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ ২:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে গাঁজা অবৈধ। তবে চিকিৎসাজনিত কারণে গাঁজা-মারিজুয়ানার ব্যবহার যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি রাজ্যে বৈধতা পেয়েছে। এ ছাড়া ২০১৮ সালের অক্টোবরে বিনোদনমূলক ক্ষেত্রে গাঁজার ব্যবহার বৈধ করে কানাডা। সংঘটিত অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই এবং ভোক্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পদক্ষেপ হিসেবে এ ব্যবস্থাটির বৈধতা দেয় জাস্টিন ট্রুডোর সরকার।

সম্প্রতি গোটা বিশ্বে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা-বেদনা কমাতে ক্যানাবিনয়েড-সমৃদ্ধ বিশেষ ধরনের পথ্য সেবনের দিকে ঝুঁকছেন অনেকে। এই ক্যানাবিনয়েড গাঁজার একটি প্রধান উপাদান যা নিয়ে গবেষণাও কম হচ্ছে না।

ই বিষয়ে ২০টি গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণ করলেন এক গবেষক। নতুন এই গবেষণায় উঠে আসা তথ্য প্রকাশিত হয়েছে জেএএমএ ও হার্ভার্ড হেলথে।

গবেষণায় মূলত গাঁজার মূল উপাদান ক্যানাবিনয়েডের কার্যকারিতার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই তালিকায় আছে ডেল্টা-৯-টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল বা ক্যানাবিডিওল এবং প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে দেওয়া ওষুধ নেবিলোন (সিসামেট), ড্রোনাবিনল (মেরিনল, সিন্ড্রোস) এবং নাবিক্সিমোলস (সেটিভেক্স)।

গবেষকরা বলছেন, মস্তিষ্কে স্নায়ু সংবেদ পরিবহনকারী একটি পদার্থ থাকে যাকে নিউরোট্রান্সমিটার বলে। এন্ডো-ক্যানাবিনয়েড এমনই একটি নিউরোট্রান্সমিটার। এই উপাদানটির গঠন গাঁজার ক্যানাবিনয়েডের মতোই। তাই এই উপাদানটি শরীরে গেলে মস্তিষ্কের বিশেষ কিছু অংশ সাময়িকভাবে উদ্দীপিত হয়। যার ফলে মনে হয় যেন ব্যথা কমে আসছে কিংবা ওষুধ ভালো কাজ করছে। আদৌ অতিরিক্ত কোনো উপকার মেলে না।

গবেষকরা আরও বলেন, দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা ওষুধের মাধ্যমে কমানো বেশ কঠিন হয়ে যায়। তাই গাঁজার সেবনে যদি কেউ সাময়িকভাবে ভালো অনুভব করেন, তাহলে তাকে আটকানো ঠিক নয়।

এ বিষয়ে ভেটেরান অ্যাফেয়ার্স বলছে, মেডিক্যাল গাঁজা চিকিৎসা বিজ্ঞানে দারুণ একটি ক্ষেত্র। এ নিয়ে আরও গবেষণা চলবে। বয়স্ক এবং তাদের পরিবারের কল্যাণে প্রয়োজনীয় নীতি সমন্বয় করা হবে।

তবে গাঁজাকে অন্যান্য নেশাদ্রব্যের চেয়ে ভালো বলে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কেভিন হিলের বলেন, গাঁজা সেবন ভালো নয়, এটা ঠিক। কিন্তু কোনো কিশোর বা তরুণ মারিজুয়ানা সেবন করলে সেটা অপরাধ, তা বললে ভুল হবে।

অধ্যাপক কেভিন হিল অনেক পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, যারা গাঁজা সেবন করেন তারা পরবর্তীকালে গাঁজা-মারিজুয়ানাই খোঁজেন। এদের সাধারণত অ্যালকোহল কিংবা অন্য মাদকে আসক্ত হতে দেখা যায় না।

হিলের দাবি, ৮০ শতাংশ গাঁজাসেবনকারী শুধু গাঁজাসেবনেই সন্তুষ্ট থাকেন।