আমার প্রথম উপন্যাস যখন প্রকাশিত হতে যাচ্ছিলো, আমি তখন সদ্য ক্লাস টেন পাশ করা কিশোর। লেখালেখিকে কিভাবে বইয়ে রূপান্তর করতে হয়, সেই ধারণাও ছিলো না।
কিন্তু কিশোর মনের অজস্র স্বপ্ন। আমারো স্বপ্ন ছিলো, আমি বড় হয়ে হুমায়ুন আহমেদ হবো অথবা সমরেশ মজুমদার হবো। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, আহমদ ছফার লেখার সাথে তখনো পরিচয় হয়নি আমার, তাই উনাদের মতো হতে চাওয়ার স্বপ্ন আসে নি।
পনেরো থেকে তেইশ। আট বছরে আরো চারটা উপন্যাস লেখা হলো, এবারের বইমেলায় ইন শা আল্লাহ পঞ্চম উপন্যাস প্রকাশিত হবে। লেখালেখির জগতে যতো ঢুকছি, ততই মনে হচ্ছে – আমি যেনো একটা বিশাল সমুদ্রের তীরে এসে দাঁড়িয়ে আছি এখনো, জল পর্যন্ত ছোয়া হয়নি এখনো। আমাকে এই বিশাল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে, তরুণদের জন্য লিখে যেতে হবে।
আমার বয়স চব্বিশ। এই বয়সে প্রায় কিংবদন্তী লেখকগণ লেখা শুরু করেছিলেন মাত্র। এটা আমাকে স্বস্তি দেয়। কারণ ভালো লিখি অথবা খারাপ, নিজেকে শুধরে নেওয়ার যথেষ্ট সময় আছে হাতে।
আমার চেয়েও ভালো লেখালেখি করেন এমন অন্তত কয়েকহাজার লেখক আছেন দেশজুড়ে। আমি উনাদের প্রতিযোগি নই। আমি চাই, উনাদের লেখাগুলো আমার লেখার চেয়েও বেশি ছড়িয়ে যাক চারিদিকে। কারণ ভালো সাহিত্য না ছড়ালে, কিশোরের দল প্রযুক্তির নেশায় সৃজনশীলতা হারিয়ে বসবে। পরবর্তী প্রজন্ম কখনোই জানতে পারবে না, তাবৎ পৃথিবীর বাইরেও একটা জগত আছে – বইয়ের জগৎ। একটি বই হাতে নিয়েই কল্পনার জগতে ছুটে যাওয়া যায়, উজ্জ্বল ফর্সা যদি পছন্দ না হয়, শ্যামলা বর্ণের মায়াবী একটা চেহারাকে উপন্যাসের নায়িকা ভাবা যায়। এজগতে কোনো সীমারেখা নেই। অভূতপূর্ব এই সুখ থেকে তারা চিরতরে বঞ্চিত হবে।
২০২৩ বইমেলায় আমার পঞ্চম উপন্যাস ‘শবরথী’ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ইন শা আল্লাহ। এটা আমার প্রথম এডাল্ট সাইকো-থ্রিল লেখার চেষ্টা। চেষ্টায় কতটুকু সফল হতে পেরেছি, সেটা বুঝতে পারবো আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের মন্তব্যের মাধ্যমে।
ঢাকা বইমেলায় শব্দশিল্প প্রকাশনী এবং চট্টগ্রাম বইমেলায় সাহিত্য বিচিত্রা তে আমার বই পাওয়া যাবে। এছাড়াও রকমারি ও অন্যান্য অনলাইন প্লাটফর্মে এই বইটি পৌঁছে যাবে শীঘ্রই।