সাংবাদিকরা জানতে চাইলে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি এ বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখেছেন। তিনি আশা করেন, যেকোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা কোনো দেশের সঙ্গে সহযোগিতায় ও সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব ফেলবে না। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেগুলো একতরফা নিষেধাজ্ঞা। সেগুলো জাতিসংঘের নয়।’
মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল : যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল (আইপিএস)’ বিষয়ে চীনের অবস্থান জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বিভাজন বা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে, এমন উদ্যোগগুলো চীন এড়িয়ে চলে। বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের জন্য অনুকূল যেকোনো বৈশ্বিক উদ্যোগকে চীন সমর্থন করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল’ প্রসঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, “একটি দেশের যেকোনো উদ্যোগ অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে বা বিশেষ একটি দেশের একচ্ছত্র স্বার্থের জন্য না হয়ে বরং তা ‘উন্মুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক’ হওয়া উচিত।”
রোহিঙ্গা ও মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি : এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাত্ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনের অব্যাহত সমর্থন পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জবাবে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে তাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন করা দরকার। তিনি আশা করেন, প্রত্যাবাসন দ্রুতই শুরু করা হবে।
চীনা রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাতের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের নতুন করে এ দেশে ঢুকতে দেবে না।
সীমান্তের শূন্য রেখায় প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গার অবস্থান নেওয়ার খবর বিষয়ে সাংবাদিকরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এর জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। আমাদের নীতি অনুযায়ী, আমরা আর নতুন কাউকে নেব না। শূন্য রেখায় মারামারি চলছে দুটি দলের মধ্যে। দুটিই মিয়ানমারের।’ মন্ত্রী বলেন, ‘পরিস্থিতি খুব ভালো নয়। কারণ ওখানে বাড়িঘর অনেক জ্বালিয়ে দিয়েছে।’