সরকার নারীসমাজকে সঙ্গে নিয়েই বাংলাদেশকে উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ চূড়ান্তভাবে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। আমরা আরও এগিয়ে যাব। সেটা মাথায় রেখেই আমরা আমাদের সমস্ত উন্নয়ন কর্মসূচি প্রণয়ন করছি। আমরা নারীদের সম্পৃক্ত করে এগিয়ে যাব।
রোববার (২২ জানুয়ারি) সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেন (এইউডব্লিউ)’র কাউন্সিল অব প্যাট্রনস-এর একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর চেরি ব্লেয়ার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার জন্য খাদ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাসহ দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই তার সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
এ প্রসঙ্গে তিনি এইউডব্লিউ প্রতিনিধি দলকে এমন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করতে বলেন-যা শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলবে।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘শুধু সাধারণ শিক্ষা নয়, এমন শিক্ষা প্রদান করুন যা তাদের দক্ষ করে তুলবে, বেকার তৈরি করবে না।’
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তিনি জমি দান করেছেন বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যেকোনো দেশের উন্নয়নের জন্য নারী শিক্ষা অপরিহার্য।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী সংক্ষিপ্তভাবে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরেন।
বৈঠকে আফগানিস্তানের প্রসঙ্গ এলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলামের নামে নারীদের শিক্ষা বন্ধ করার কোনো সুযোগ নেই। ইসলাম সর্বদা নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলে। এর পরও বর্তমান আফগান সরকার জোর করে সে দেশের নারী শিক্ষা বন্ধ করে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, পুরো বিশ্ব এটি প্রত্যক্ষ করছে, কেউ এর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার সময় নারী নেতৃত্ব নিয়ে নিজে তীব্র বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশ ও জনগণের উন্নয়নে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার রোহিঙ্গা শিশুদের তাদের নিজ ভাষায় শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও এইউডব্লিউর উপাচার্য ড. রুবানা হক উপস্থিত ছিলেন।