ঢাকাশুক্রবার, ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি চলছে মাদারীপুরে

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

মাদারীপুরে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ভেঙে বিভিন্ন হাটবাজারে প্রকাশ্যেই জাটকা বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এসব মাছ বিক্রি বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে ইলিশ উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।

জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জাটকা ইলিশ রক্ষায় গত ১ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত নদনদীতে জাটকা মাছ ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এই আট মাস জাটকা পরিবহন, বিক্রি ও বাজারজাতকরণও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে বড় আকারের ইলিশ ধরতে কোনো বাধা নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিন রাতে মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ ও পদ্মা নদী থেকে প্রতিনিয়ত জেলেরা জাটকা ধরে জেলার বিভিন্ন আড়ত ও হাটবাজারে বিক্রি করছেন। এ ছাড়াও শরীয়তপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, বরগুনাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রাক, নসিমনে করে প্রতিনিয়ত ইলিশের পাশাপাশি জাটকা নিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা। এসব জাটকা শহরের পুরান বাজার, ইটেরপোল, মস্তফাপুর এলাকার মাছের আড়তে নিয়ে আসার পর মাছ বিক্রেতারা তা পাইকারি কিনে।

পরে এ মাছগুলো জেলার মিয়ারহাট, টেকেরহাট, কবিরাজপুর, শ্রীনদী, শিবচর, উৎরাইল, কাওড়াকান্দি, ভূরঘাটা, গোপালপুর, খাসেরহাট, সাহেবরামপুর, ডাসার, শশীকরসহ জেলার ছোট-বড় হাটবাজারে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাছ বিক্রেতা বলেন, ‘জাটকা আড়তে আসে বলেই আমরা কিনে বিক্রি করি। এখানে আমাদের দোষের কিছু নেই। আড়তদাররা যদি জাটকা আনা বন্ধ রাখেন তাহলে আমরাও জাটকা ইলিশ বিক্রি বন্ধ রাখব।’

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ইলিশ কেন বিক্রি করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে মাদারীপুর জেলা পুরান বাজার মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোসলেম মাতুব্বর বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানি না। হয়তো দুই থেকে একজনে বিক্রি করতে পারে। বড় এক মণ মাছের সঙ্গে চার থেকে পাঁচ কেজি জাটকা মাছ থাকতে পারে।’

মাদারীপুর সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তপন মজুমদার বলেন, ‘আমরা জেলার নদী ও স্থলপথে জাটকা ইলিশ আহরণ ও পরিবহন বন্ধ করতে কাজ করছি। তবে কেউ যদি এরমধ্যেও জাটকা ইলিশ আহরণ বা বিক্রি করে আমাদের তথ্য দিয়ে সাহায্য করবেন। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

মাদারীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল কৃষ্ণ ওঝা বলেন, ‘জাটকা ইলিশ ধরা ও বিক্রি বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আমাদের অগোচরে জাটকা বিক্রি করছে। এ ছাড়াও জাটকা রক্ষার নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।’

এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইনউদ্দিন বলেন, ‘জাটকা ইলিশ বিক্রির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আমরা গত সপ্তাহে অভিযান পরিচালনা করে ৩০০ কেজির বেশি জাটকা জব্দ করে এতিমখানায় বিতরণ করেছি। কোনো অসাধু ব্যবসায়ী যদি জাটকা পরিবহন বা বিক্রির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে, তবে তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’