ঢাকাশনিবার, ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হজে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন ডেসটিনির হারুন

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ ৮:২২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চার বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনা প্রধান হারুন-অর-রশিদকে চিকিৎসা ও ওমরা হজ পালনের জন্য বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।

 

এ মামলায় জামিনে থাকা হারুন-অর-রশিদের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

 

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

 

পরে খুরশীদ আলম খান জানান, হারুন-অর-রশিদের আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তাকে চার মাসের জন্য বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়েছেন। আদালতের জিম্মায় থাকা পাসপোর্ট নিয়ে তিনি এখন বিদেশ যেতে পারবেন। তবে তার মাসের মধ্যে ফিরে এসে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।

 

২০২২ সালের ১২ মে বিচারিক আদালতে এই মামলার রায় হয়। তাতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা। এরমধ্যে হারুন-অর-রশীদকে দেওয়া হয় চার বছরের কারাদণ্ড। সেইসঙ্গে তাকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

 

এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। গত বছরের ৯ জুন তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।

 

পরে, হাইকোর্ট গত বছরের ৩০ আগস্ট এ মামলায় তাকে জামিন দিয়েছিলেন।

 

২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন।

 

তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি।

 

বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদণ্ড এবং ২০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।

 

বাকীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। ৪৬ আসামির মধ্যে ৩৯ জন আসামি পলাতক রয়েছেন