নির্বাচনে জনগণের কাছে বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি এখন হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে তারা বিদেশি প্রভুদের কাছে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে দেশের জনগণের বিরুদ্ধে ‘স্যাংকশন’ আরোপের ক্রমাগত ষড়যন্ত্র করছে।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেন তিনি। বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ওবায়দুল কাদের।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির দুর্নীতিবাজ নেতৃত্ব বিদেশে বসে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে দল চালায়। তাদের নেতাকর্মীদের নাশকতার উস্কানি দেয়। কিন্তু বিশ্ববাসী ও দেশের জনগণের কাছে গুজব রটনাকারীদের ষড়যন্ত্র আজ ধরা পড়েছে, সত্য উদ্ভাসিত হয়েছে। তাই বিএনপি নেতারা দিশেহারা।
বঙ্গবন্ধুর খুনি-যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি-জামায়াত দেশের মানুষের কোনো মঙ্গল চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাই দেশের গণতন্ত্র-উন্নয়ন-অগ্রগতি তাদের চোখে পড়ে না। অথচ আইএমএফ-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আন্তইনেত মনসিও সায়েহ বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে সফলতার কথা উল্লেখ করে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইউরোপে যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বের তেল ও গ্যাসের সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এ কারণে বিশ্বজুড়ে তেল ও গ্যাসের দাম বেড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে পৌনে তিনগুণ। আর যুক্তরাজ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে পৌনে ছয়গুণ। বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন গড়ে ইউনিট প্রতি তিন টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। পিডিবি বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। জনগণের কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও সরকার নিরুপায় হয়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে।
আমরা বিএনপির কাছ থেকে রাজনৈতিক দল হিসেবে দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করি উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক ফয়দা লোটার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজব না ছড়িয়ে তাদের আসন্ন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাই। সাংবিধানিক পন্থায় একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তন হতে পারে।