ঢাকাশনিবার, ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মৃত্যুর পর এখলাছ পেলেন মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি 

নিজস্ব প্রতিবেদক | সিটিজি পোস্ট
জানুয়ারি ২১, ২০২৩ ৪:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

যুদ্ধ করে স্বাধীনতার জন্য জীবন বাজী রেখেও বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছ স্বাধীনতার ৫০ বছর গত হওয়ার পরেও পেলেন না মুক্তিযুদ্ধার স্বীকৃতি। স্বীকৃতি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে গত ২ফেব্রুয়ারী ২০২২ তিনি এক বুক হতাশা নিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন।

 

স্বাধীনতা যুদ্ধের পর মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী সাহেব স্বীকৃতি স্বরূপ দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধোর সার্টিফিকেট, ছিল বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধো সংসদের পরিচয় পত্র। এরপরেও অজ্ঞাত কারণে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ছিল না জাতির এই সূর্য সন্তানের নাম। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর উনার কর্মক্ষেত্র ছিল কর্ণফুলী উপজেলার অন্তর্গত দৌলতপুর স্কুলের দপ্তরী হিসেবে, আমৃত্যু তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন । ব্যক্তি জীবনে সহায় সম্বলহীন নির্লোভ, সৎ এবং সাদামাঠা জীবন যাপনকারী এই মুক্তিযোদ্ধার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে তথ্য প্রমাণাদি সহ প্রেরণ করেছিলেন উক্ত এলাকার সমাজসেবক ও কলামিস্ট এম.এ . মাসুদ । তিনি মুক্তিযোদ্ধা এখলাসের থাকার জন্য দিয়েছিলেন একখণ্ড জমিও ।

দুর্ভাগ্য জীবিত অবস্থায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমানের কপালে যে স্বীকৃতি জোটে নি, মৃত্যুর এক বছর পর গত ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ পাওয়া এই স্বীকৃতি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার দেশের জন্য জীবন বাজী রাখার সাহস ও ত্যাগের প্রতি অবমাননা বলে মনে করছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ অত্র এলাকার জনগণ। সাবেক পটিয়া বর্তমান কর্ণফুলী উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের এই বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন একজন ভূমিহীন এবং শেষ বয়সে আর্থিক অনটনের মধ্য দিয়ে দিন যাপন করেছেন।

 

মৃত্যুর পর তার ললাটে জোটেনি রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার। মৃত্যু পরবর্তী এই স্বীকৃতি পাওয়ার পর তাঁর সমাধিতে দেওয়া হোক রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার এবং মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তার প্রাপ্য সকল সম্মানী ভাতা । এটি এখন বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ অত্র এলাকার জনগণের দাবী।