দেশে দেশে চরম মূল্যস্ফীতির মধ্যেই মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ আপাতত সুদের হার না বাড়ানোর ইঙ্গিত দেওয়ায় ডলার দুর্বল হচ্ছে। ফলে মূল্যস্ফীতির ঢাল হিসেবে বিনিয়োগ বাড়ছে সোনায়। খুচরা বিক্রির পাশাপাশি সোনায় প্রাতিষ্ঠানিক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়ছে।
গত ডিসেম্বরে বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে সোনার দাম। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডাব্লিউজিসি) বলছে, ২০২৩ সালে আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে মূল্যবান এই ধাতু, বিনিয়োগ বাড়বে ব্যাপকভাবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনা ক্রয় এরই মধ্যে ৫৫ বছরে সর্বোচ্চ হয়েছে।
সোনার খুচরা বেচাকেনায় সবচেয়ে বড় বাজার চীন। দেশটিতে করোনার লকডাউন শিথিল হওয়ার পাশাপাশি সীমান্ত খুলে দেওয়ায় খুচরা বাজারে সোনার চাহিদা বাড়ছে। এর পাশাপাশি দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকও ক্রয় বাড়াচ্ছে। সম্প্রতি পিপলস রিপাবলিক অব চায়না জানিয়েছে, শুধু নভেম্বর ও ডিসেম্বরে তারা ৬২ টন সোনা ক্রয় করেছে। এর পাশাপাশি রাশিয়াও সোনা ক্রয় বাড়াচ্ছে। পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি বিপরীতে তারা সোনার মজুদ বাড়াচ্ছে। যাতে এটি ঢাল হিসেবে কাজে লাগে।
২০২২ সালের শুরুতে বিশ্ববাজারে সোনার দাম ছিল প্রতি আউন্স এক হাজার ৮৩০ ডলার। রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার জেরে মার্চের শুরুতে দাম বেড়ে হয় প্রতি আউন্স এক হাজার ৯৫৭ ডলার। পরবর্তী সময়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের আগ্রাসী সুদের হার বৃদ্ধিতে ডলার শক্তিশালী হয়। এতে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে আকর্ষণ হারায়, পড়তির দিকে থাকে সোনা। তবে সুদের হার বৃদ্ধি কিছুটা ধীর হওয়ায় আবারও বাড়তে শুরু করেছে মূল্যবান এই ধাতুর দাম।