আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী সংসদের উপনেতা হচ্ছেন। ১২ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) জাতীয় সংসদ ভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে। আওয়ামী লীগের সংসদীয় সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০০৯ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সাজেদা চৌধুরী ছিলেন সংসদ উপনেতা। ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান। এরপর থেকেই এই পদটি খালি রয়েছে।
মতিয়া চৌধুরী বর্তমানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। তিনি নানা সময়ে দলের আন্দোলন-কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ এবং পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনে তিনি নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন। রাজপথের লড়াই-সংগ্রামের কারণে তিনি অগ্নিকন্যা হিসেবে বেশি পরিচিত ছিলেন। মতিয়া চৌধুরী ছাত্রজীবন থেকে এখনও রাজনীতিই আঁকড়ে আছেন।
গত ৫ জানুয়ারি সংসদের ২১তম অধিবেশন শুরু হয়েছে। এর আগে সাজেদা চৌধুরী মারা যাওয়ার পর ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর ২০তম অধিবেশন বসে। সেই অধিবেশনেই মতিয়া চৌধুরীকে সংসদ উপনেতা করার বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত হয়।
আওয়ামী লীগের এক কেন্দ্রীয় নেতা ও একজন মন্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা সংসদের উপনেতা হিসেবে মতিয়া চৌধুরীকেই বেছে নিবেন এটি ঘনিষ্ঠদের আগেই জানিয়েছিলেন। কিন্তু একজন জ্যেষ্ঠ নেতার মনোভাব জানার পর তিনি কিছুটা সময় নেন। এবারের অধিবেশনে মতিয়া চৌধুরীকে সংসদ উপনেতা করার পর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী।
সূত্র আরও জানায়, আজ রাতে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর স্পিকারের কাছে সংসদ নেতার অভিপ্রায় অনুসারে মতিয়া চৌধুরীর নাম উপনেতা হিসেবে প্রস্তাব করা হবে। দু-এক দিনের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন হয়ে যেতে পারে।
সংসদ উপনেতার পদে সংসদে ভোটাভুটি হয় না। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী তার অভিপ্রায়ের কথা স্পিকারের কাছে প্রকাশ করেন। এরপর স্পিকার সেটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠান। প্রজ্ঞাপন হলে সংসদ উপনেতার শপথ নিতে হয় না। তবে সংসদ উপনেতা মন্ত্রীর মর্যাদা ও সুবিধা পাবেন।