পণ্য রপ্তানিতে প্রতিবেশী বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহারের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল নেপালের। অবশেষে সেই অনুমতি পেয়েছে নেপাল। তৃতীয় কোনো দেশে সুতা রপ্তানিতে নেপালের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। গতকাল রবিবার এমন একটি প্রতিবেদন উঠে আসে নেপালি গণমাধ্যম মাই রিপাবলিকায়।
‘বাংলাদেশ ওপেনস বাংলাবান্ধা ড্রাই পোর্ট ফর নেপালি ট্রেডার্স টু এক্সপোর্ট ইয়ার্ন’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘তৃতীয় যেকোনো দেশে সুতা রপ্তানিতে নেপাল এখন বাংলাদেশের একটি স্থলবন্দর ব্যবহার করতে পারবে। প্রতিবেশী বাংলাদেশ নেপালকে এ সুযোগ দিতে সম্মত হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে নেপালের শিল্প, বাণিজ্য ও সরবরাহ মন্ত্রণালয় (এমআইসিএস) জানায়, নেপালকে বাংলাবান্ধা বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে সুতা রপ্তানির সুযোগ দিতে অনুমতির যাবতীয় আনুষ্ঠানিকা সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ। শুল্ক-কর বিষয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংস্থা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সম্প্রতি তাদের নির্দেশিকায় বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছে। দেশটির জাতীয় গেজেটও প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, নেপাল দীর্ঘদিন থেকেই বাংলাদেশে সুতা রপ্তানিতে প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করার দাবি করে আসছিল। সেই সঙ্গে ১০৮টি নেপালি পণ্য পুনর্বিবেচনার দাবি করে আসছে, যেগুলো বাংলাদেশের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছে। এর পাশাপাশি নেপালিদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা, বেশ কিছু নেপালি পণ্যে অগ্রাধিকার বাজার সুবিধা দেওয়া এবং তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার দাবি করা হয়।’
নেপাল বাংলাদেশ চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা বলেন, নেপালের নিজস্ব কোনো সমুদ্রবন্দর না থাকায় তারা বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে মোংলা বা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে অন্য দেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করার দাবি জানিয়ে আসছিল। এতে নেপালের পাশাপাশি বাংলাদেশ লাভবান হবে।