রবিবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার একটি হোটেলে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
কুমিল্লা দক্ষিণ ও উত্তর জেলা এবং কুমিল্লা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বিএনপি ঘোষিত আন্দোলনের ১০ দফা এবং রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখার ২৭ দফার ব্যাখ্যা শীর্ষক ওই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এ সময় ড. মোশাররফ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ঘোষিত ১০ দফার ব্যাখ্যা-বিশ্লষণ করেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকারের পতন ঘটাতে জনগণকে বোঝাতে হবে। এ জন্য আগে বিএনপির নেতাকর্মীদের বুঝতে হবে ১০ দফা কী? এরপর জনগণকে সেটি বোঝাতে হবে। কারণ বিএনপি একা সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। সরকারের পতন ঘটাতে হলে জনগণকে সঙ্গে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আপনাদেরকে কেউ যদি বলে এই ১০ দফা না মানলে কী করবেন? আপনারা বলবেন, জনগণের শক্তির ওপর কোনো শক্তি নেই। দেশের আরো ৩৩ দল আমাদের (বিএনপির) সঙ্গে রয়েছে। তাদের সাথে জনগণকে নিয়ে এই সরকারের পতন ঘটাব। সরকারের পতন ঘটিয়ে আমরা একা সরকার চালাব না। যারা এই সরকারের বিরুদ্ধে ও গণতন্ত্রের পক্ষে থাকবে আমরা তাদের নিয়ে সরকার গঠন করব।’
ড. মোশাররফ আরো বলেন, ‘আজকে শ্রীলঙ্কার দিকে তাকান। ১৮ বছর এক পরিবার থেকে পুরো দেশ চালিয়েছে। যখন জনগণ রাস্তায় নামছে, তখন কিন্তু কেউ টিকতে পারেনি। একজনে জাহাজে কইরা পালাইছে; কয়েকজনকে উলঙ্গ কইরা পিটাইছে। পানির মধ্যে ফালাইয়া চুবাইছে। তো ওই ক্ষমতা যদি যাইতে পারে, আইয়ুব খানের মতো ক্ষমতাবান যদি যাইতে পারে আর জনগণ এরশাদের মতো ক্ষমতাবানকে তাড়াইতে পারে, তাহলে এই সরকারকে তাড়াইতে পারবে না কেন? এটা করতে হলে আমাদের সকলকে বুঝতে হবে। আর এ জন্যই আমরা ১০ দফা দিয়েছি।’
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুর্নবাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজি আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগীয়) সায়েদুল হক সাইদ। এ সময় তিনটি সাংগঠনিক ইউনিটের বিভিন্ন স্তরের নেতারা বক্তৃতা করেন।