দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানিকৃত রেল কোচের চালান খালাস শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে ।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে , বুধবার (৪ জানুয়ারী ) বন্দরের ১২ নাম্বার জেটিতে আমদানিকৃত কোচগুলোর খালাস কার্যক্রম শুরু হয় দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসা এই চালানে ১৫ টি করে মোট ৩০ টি মিটার গেজ কোচ আছে । গত ২৪ ডিসেম্বর কোরিয়া থেকে উক্ত কোচগুলো নিয়ে এমভি স্টার টাইচি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এবং বুধবার ( ৪ জানুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে । কোচগুলো খালাসের পর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের হালিশহরের গুডস পোর্ট ইয়ার্ডে রাখা হচ্ছে এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে পাহাড়তলীর রেলওয়ে কারখানায় নিয়ে যাওয়া হবে ।
জানা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ কম্পানি শংশিন আর এস টি- পস্কো ইন্টারন্যাশনাল চুক্তি অনুযায়ী ১৫০ টি মিটারগেজ কোচ সরবরাহ করছে । ১৫০ টি কোচ কিনতে সর্বমোট ব্যয় হচ্ছে ৬৫৮ কোটি, ৮১ লাখ, ত্রিশ হাজার টাকা। আর এতে ঋণ সহায়তা প্রদান করছে দক্ষিণ কোরিয়ার এক্সিম ব্যাংক।
আমদানিকৃত এই কোচগুলোর মধ্যে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত স্লিপিং বাথ ৩০ টি , এসি চেয়ার কোচ ৩৮ টি, শোভন চেয়ার ৪৪ টি, খাবার গাড়ির সুবিধা সম্মিলিত শোভন চেয়ার ১৬ টি, পাওয়ার কার, শোভন চেয়ার কোচ ১২টি, ১ টি করে খাবার গাড়ি ও পরিদর্শন গাড়ি রয়েছে ।
যে সব সুবিধা থাকছে নতুন আমদানিকৃত ১৫০ কোচে :
আমদানিকৃত নতুন রেল কোচ গুলো তে থাকছে স্টেইনলেস স্টিল বডি , স্বয়ংক্রিয় এয়ার ব্রেক, ফোল্ডিং ডোর সহ বায়ো টয়লেট ।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, “গতকাল বিকাল থেকে আমদানিকৃত রেল কোচ গুলোর খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে”।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন ,
“অত্যাধিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন এই রেল কোচগুলো দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আনা হয়েছে । এর ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করা রেল যাত্রীদের সময় সাশ্রয় হবে এবং রেলপথ আরো গতিশীল হবে । ”
উল্লেখ্য, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন যাত্রীদের সময় সাশ্রয় এবং রেল যোগাযোগ কে আরো গতিশীল করতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ১৫০ টি কোচ ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল পূর্বেই । আগামী ৩-৫ মাসের মধ্যে ঢাকা- চট্টগ্রাম রেলপথ সম্পূর্ণভাবে ডাবল লাইনে উন্নীত হবে ।