ঢাকাবুধবার, ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নৌকার জয় গায়বান্ধা ৫ এ 

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
জানুয়ারি ৫, ২০২৩ ৬:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৭৮ হাজার ২৮৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির গোলাম শহীদ রঞ্জু লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭৫২ ভোট। বুধবার (৪ জানয়ারি) রাত সোয়া ৮টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে দুই উপজেলার ১৪৫ কেন্দ্রের ভোটের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।

 

এর আগে সন্ধ্যার পর থেকে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা পরিষদ হল রুম থেকে নির্বাচনি ফল ঘোষণা করেন যথাক্রমে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালেব ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম। প্রাপ্ত ফলে দেখা যায়, সর্বমোট ১৪৫ কেন্দ্রের মধ্যে ফুলছড়ি উপজেলার ৫৭ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ২৩ হাজার ৭৮৭ ভোট ও লাঙ্গল প্রতীক পেয়েছে ১২ হাজার ২৯৩ ভোট। এ ছাড়া সাঘাটা উপজেলার ৮৮টি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক ৫৪ হাজার ৪৯৮ ভোট এবং লাঙ্গল প্রতীক পেয়েছে ৩২ হাজার ৪৫৯ ভোট। অর্থাৎ ৩৩ হাজার ৫৩৩ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন মাহমুদ হাসান রিপন।

 

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভোট সুন্দর ও সুষ্ঠু হয়েছে। ৩৫ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে।’

 

সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শেষে গণনা করা হয়। কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ এবং কাঙ্খিত ভোটার উপস্থিতি ছাড়াই স্বাভাবিক পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪ জন। গেলো বছরের ২৩ জুলাই সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। পরে গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনে ভোটগ্রহণ চলাকালে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এর পর ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। অনিয়মের সঙ্গে ১১৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেয় ইসি।

 

নির্বাচনে পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মাঠে সক্রিয় ছিলেন আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর এএইচএম গোলাম শহিদ রঞ্জু (লাঙ্গল)। তবে ভোটের মাঠে প্রচারণায় দেখা যায়নি বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমানকে (ট্রাক)। গত ২৫ ডিসেম্বর অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।