রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বসেছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৩। আজ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৭তম আসরের তৃতীয় দিন।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর ৩টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মেলা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানী থেকে মেলা দূরে হওয়ায় এখন পর্যন্ত আশেপাশের এলাকাবাসীরাই এর প্রধান দর্শক। রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে হাতেগোনা কয়েকজন দর্শনার্থী এসেছেন মেলায়।মেলার প্রধান ফটকে নেই দর্শনার্থীদের প্রবেশের সারি। হাতেগোনা কয়েকজনকে একসঙ্গে অথবা ভাগে ভাগে ২/৩ জনকে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। এছাড়া মেলার প্রবেশ গেটে নিরাপত্তায় রয়েছে পুলিশ ও মেলা কর্তৃপক্ষের লোকজন।গেট দিয়ে প্রবেশের পরপরই চোখে পড়ে এক্সিবিশন সেন্টারের সামনে থাকা সুবিশাল খালি জায়গা। যেখানে রয়েছে বিশ্রাম করার জন্য বেঞ্চ। এছাড়াও রয়েছে হাঁটা-চলাচল করার মতো পর্যাপ্ত জায়গাসহ দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা। এর চারপাশ ফুটন্ত গাঁদা ফুলের গাছগুলো সারিবদ্ধভাবে সাজানো রয়েছে। যা দেখে দর্শনার্থীদের মনে পৌষের হিমেল বাতাসের সঙ্গে হিল্লোল জাগাবে। এমন পরিবেশে দর্শনার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ মুঠোফোনে ব্যস্ত হচ্ছেন ছবি তোলায়। কেউ কখনও নিজে, অথবা পরিবার বা সফর সঙ্গীদের সঙ্গে একই ফ্রেমেবন্দি হচ্ছেন।এদিকে গাজীপুরের কালীগঞ্জের নাগরী ইউনিয়ন থেকে মেলায় আসা আল আমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের বাড়ির কাছেই এ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আসর বসেছে। তাই স্ত্রীকে নিয়ে এখানে বেড়াতে এসেছি। তবে এখনও কিছু কেনার কোনো পরিকল্পনা করিনি। আপাতত ঘুরে দেখছি, শেষের দিকে আবারও আসবো যখন পণ্যগুলোতে বিভিন্ন ছাড় থাকবে।
রূপগঞ্জ থেকে ৪ মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে আসা মতিউর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মেয়েরা মেলায় নিয়া আসার জন্য বায়না ধরেছিল। ভেবে দেখলাম, আর কয়েকদিন পর থেকে মেলায় ভিড় হবে। তখন নিয়ে আসলে ঠিকমতো ঘুরে দেখতে পারবে না। তাই ওদের নিয়ে এসেছি।
বিকেল ৪টার পর থেকে অনেককে মেলা থেকে বের হতে দেখা গেছে। তাদের অনেকেই ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে কুড়িল এলাকা থেকে আসা শামসুর নাহার ঢাকা পোস্টকে বলেন, বোনকে নিয়ে এখানে দুপুর আড়াইটার দিকে এসেছিলাম। যেহেতু ৫টার পরপরই সন্ধ্যা হয়ে যায়, তাই এখনই রওনা দিচ্ছি। এখনও কিছু কেনার মতো অবস্থা হয়নি। মেলায় বিভিন্ন পণ্যগুলো ঢাকার মতো এখানেও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে ছাড় দেওয়া শুরু হলে আবার আসবো।