ঢাকারবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তারল্যসংকটে ৮.৭৫% সুদে বিশেষ ধার পেল ইসলামী ব্যাংক

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
জানুয়ারি ২, ২০২৩ ১২:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

তারল্যসংকট আরও প্রকট হয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে। বিদায়ী বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে মোট ২৪ দিন বাংলাদেশ ব্যাংকে নগদ অর্থ জমা রাখতে (সিআরআর) ব্যর্থ হয়েছে। এ জন্য জরিমানা গুনছে ব্যাংকটি। গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে ও আমানতের বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাহিদামতো তারল্য জমা রাখতে ৮ হাজার কোটি টাকা বিশেষ ধার নিয়েছে ইসলামী ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিরল এই সুবিধা দিয়েছে। ইতিমধ্যে কোনো সুকুক বন্ড জমা ছাড়াই ৮ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। যার সুদের হার ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। সাধারণত সুকুক বন্ড ও বাংলাদেশ সরকার ইসলামিক বিনিয়োগ বন্ড জমা দিয়ে শরিয়াহ ব্যাংকগুলো টাকা ধার নেয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিরল এই সুবিধা দিয়েছে। ইতিমধ্যে কোনো সুকুক বন্ড জমা ছাড়াই ৮ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। যার সুদের হার ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। সাধারণত সুকুক বন্ড ও বাংলাদেশ সরকার ইসলামিক বিনিয়োগ বন্ড জমা দিয়ে শরিয়াহ ব্যাংকগুলো টাকা ধার নেয়।

তবে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবহারযোগ্য বন্ড শেষ হয়ে এসেছে। ফলে বিরল এই ব্যবস্থায় টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও শরিয়াহ ব্যাংকগুলোকে নির্দিষ্ট সুদে টাকা ধার নেওয়ার সুযোগ নেই।

ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা গত ২৯ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে এক চিঠিতে এই বিশেষ তহবিল চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এই অনুমোদন দেয়। গত বছরের শেষ কার্যদিবসে ব্যাংকটিকে ৮ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়। এর ফলে গত বছরের আর্থিক প্রতিবেদনে প্রকৃত চিত্রের পরিবর্তনে তুলনামূলক ভালো দেখানোর সুযোগ পায় ইসলামী ব্যাংক।

এ নিয়ে জানতে গত রাতে যোগাযোগ করা হলে মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে গতকাল সকালে তিনি বলেন,‘ব্যাংকের কোনো তারল্যসংকট নেই। পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।’

ইসলামী ব্যাংকের ঋণ অনিয়মের বিষয়টি সম্প্রতি আলোচনায় এলে অনেক সাধারণ ও করপোরেট গ্রাহক আমানত অন্য ব্যাংকে সরিয়ে নেয়। কোনো কোনো গ্রাহক ব্যাংকটিতে রাখা ডলারও সরিয়ে নেয়। এর ফলে নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে ব্যাংকটি টাকা ও ডলার—উভয়সংকটে পড়ে।

এমন পরিস্থিতিতে নভেম্বর মাসে কয়েক দিন ও ডিসেম্বর মাসের বেশির ভাগ দিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আমানত ও দায়ের বিপরীতে সিআরআর রাখতে ব্যর্থ হয়। এমন পরিস্থিতিকে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার অনুযায়ী চলমান নগদ জমা ঘাটতি বলা হয়। এ জন্য ব্যাংকের পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ট্রেজারি প্রধানদের প্রতিদিন জরিমানা গুনতে হয়। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে আমানত গ্রহণ বন্ধ করে দিতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক।