চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞাপিত পদের বাইরে ‘ইচ্ছেমতো’ নিয়োগে আগেভাগেই বৈধতা দিল সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেট। সর্বশেষ সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে চাহিদা বিবেচনা করে বিজ্ঞাপিত পদের চেয়ে কম বা বেশি নিয়োগ দেওয়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সিন্ডিকেটের সাবেক সদস্যরা এটা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষকেরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত নিয়োগে অনিয়মের সুযোগ করে দেবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ সিন্ডিকেট সভা হয় গত ১৪ অক্টোবর। এটি ছিল ৫৩৯তম সিন্ডিকেট সভা। ২৩ ডিসেম্বর এই সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তের কার্যবিবরণী তৈরি করে কর্তৃপক্ষ। এরপর বিজ্ঞাপিত পদের বাইরে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্তটি নজরে আসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞপ্তি ছাড়া শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ পুরোনো। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চেও বিজ্ঞাপিত পদের বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩ জন শিক্ষক নিয়োগ দিতে চেয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু ৫ মার্চের ৫৩৭তম সিন্ডিকেট সভায় ওই ১৩ শিক্ষককে নিয়োগ দিতে অসম্মতি জানান সদস্যরা। ওই সময় সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন কাজী এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী, এ কে এম মাঈনুল হক মিয়াজী ও মোহাম্মদ নাসিম হাসান। চলতি বছরের জুলাই মাসে সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে তাঁদের মেয়াদ শেষ হয়। পরে নতুন সদস্য নিয়োগ পান। নতুন সদস্যদের নিয়ে ৫৩৯তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিজ্ঞাপিত পদের চেয়ে অতিরিক্ত নিয়োগ বাতিলের সেই সিদ্ধান্ত খারিজ করা হয় এবং বিজ্ঞাপিত পদের বাইরের ১৩ শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এর আগে গত বছরের জুনে বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন পরিচালিত ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে খণ্ডকালীন ১২ শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে নিয়োগ দেওয়া হয় ১৫ জনকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তার পছন্দ, ছাত্রলীগের নেতা ও কয়েকজন শিক্ষকের সুপারিশে এসব নিয়োগ দেওয়া হয় বলে তখন অভিযোগ ওঠে।