দীপিকার পরনে গেরুয়া মনোকিনি, শাহরুখের গায়ে সবুজ জামা— ব্যস, হিন্দু ভাবাবেগে আঘাতের বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। নেটাগরিকদের একাংশ দিলো ‘বয়কট পাঠান’-এর ডাক। মুসলিম সংগঠনগুলোও ক্ষেপেছে। চারদিকে যখন টালমাটাল অবস্থা তখনই দুঃসংবাদটা আসলো সেন্সর বোর্ডের তরফ থেকে। পাঠানের ‘বেশরম রং’ নিয়ে তাদেরও আপত্তি। এছাড়া কাটতে হবে ছবির কিছু অংশও। এবার ‘পাঠান’ বিষয়ে মুখ খুললেন সিবিএফসি’র প্রাক্তন চেয়ারপার্সন পহেলাজ নিহালানি।
এর আগে সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘পদ্মাবত’ এবং সালমান খানের ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ও বয়কট ডাকের মুখোমুখি হয়েছিল। এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জানালেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে চলচ্চিত্র মুক্তির আগে মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে সিবিএফসি’র চিঠি পাওয়ার কথাও।
পাঠান’ প্রসঙ্গে পহেলাজ বলেন, ‘এমন কোনো নির্দেশিকা নেই যা বলে যে একটি রঙকে কাটা দরকার। অশ্লীলতা থাকলে আপনি পরিবর্তনের পরামর্শ দিতে পারেন। কিন্তু যদি তারা রঙের কারণে কাটার জন্য বলে, তাহলে তা হবে ভুল প্রক্রিয়া। মন্ত্রণালয় থেকে চাপ আসতে পারে… পাঠান বিতর্কের শিকার। সিবিএফসিকে অবশ্যই গেরুয়া রঙের এই অংশটি মুছে ফেলার জন্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে চাপ দেওয়া হয়েছিল। অন্যথায়, তারা ট্রেলারের সময়টাতেই পোশাকের ওই শট মুছে দেওয়ার কথা বলতেন।’
আরও বলেন, ‘কী কাট এবং পরিবর্তন প্রয়োজন তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কমিটির। তাদের সংশোধিত সংস্করণ দেখতে হবে। প্রসূন জোশি হয়তো একটি বিবৃতি দিয়েছেন কিন্তু পরীক্ষক কমিটির সঙ্গে পাঠান দেখার অধিকার তার নেই। গেরুয়া রঙের কারণে চলচ্চিত্রটি মনোযোগ সহকারে দেখার জন্য তিনি অবশ্যই মন্ত্রণালয় থেকে চাপ পেয়েছিলেন। যদি তারা রঙের কারণে কাটার পরামর্শ দেয় তবে এটি একটি ভুল প্রক্রিয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি বড় পর্দায় মুক্তি পাবে সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ‘পাঠান’ ছবিটি। এতে শাহরুখ খান এবং দীপিকা পাড়ুকোন ছাড়াও খল চরিত্রে থাকবেন জন আব্রাহাম। যশ রাজের ‘গুপ্তচর বিশ্ব’র অংশ হিসেবে সিনেমাটিতে ‘টাইগার’ চরিত্রে ক্যামিও করবেন সালমান খান।