সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা ৩২টি রাজনৈতিক দলের যুগপৎ আন্দোলনের অংশ প্রথম কর্মসূচি হিসেবে গণমিছিল শুরু হয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ৩টায় কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে গণমিছিল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। কোরআন তেলাওয়াত করেন ওলামা দলের নেতা মাওলানা আলমগীর হোসেন। গণমিছিলটি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল মোড় ঘুরে মগবাজার গিয়ে শেষ হয়।
গণমিছিল ঘিরে নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির হাজারও নেতাকর্মী। এ কারণে এসব এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।
গণমিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ অন্য নেতারা।
এ সময় খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘১০ দফা দাবি আদায়ে আজকের গণমিছিল জনসমুদ্রে রূপলাভ করেছে। এই সরকারকে বলতে চাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটানো হবে। যত নির্যাতন করেন আমাদের দমানো যাবে না।’
তিনি যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় দফার কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বলেন, ১১ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে চার ঘণ্টা রাজধানী ঢাকাসহ দশ বিভাগে প্রতিবাদী গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
গণমিছিল অস্থায়ী মঞ্চে ইতোমধ্যে উপস্থিত হয়েছেন আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান।
অন্যদিকে বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে রাজধানীর মগবাজার মোড় থেকে পুরান পল্টন পর্যন্ত সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলার রক্ষাকারী বাহিনীর অন্য সদস্যরা। পুলিশের এপিসি গাড়িকেও টহল দিতে দেখা গেছে এসব এলাকায়।
এর আগে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দুপুরে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেছেন, ‘বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে আমরা নিরাপত্তা বলয় রেখেছি যাতে জনগণের ভোগান্তি না হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীকাল থার্টি ফার্স্ট নাইট আর আজ রাজনৈতিক বিভিন্ন দলের কর্মসূচি রয়েছে। সেই বিবেচনায় অন্য কোনো ঘটনা যেন না ঘটতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা পুলিশ মোতায়েন করেছি।’
উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গোলাপবাগে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ২৪ ডিসেম্বর বিএনপিসহ জোটের দলগুলো সব বিভাগীয় ও জেলা সদরে গণমিছিল করেছে। ঢাকায়ও ওই দিন গণমিছিল করার কথা ছিল। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সম্মেলনের কারণে ওই দিনের ঢাকার কর্মসূচি পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর করা হয়।
