মেট্রোতে চড়তে আবু রায়হান উত্তরা স্টেশনে টিকিট কাটতে গিয়ে দেখতে পান, ভেন্ডিং মেশিনে লেখা, ‘লেনদেন প্রক্রিয়াটিতে ত্রুটি আছে। সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করুন। সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত।’
বাধ্য হয়ে তিনি স্টেশনের টিকিট অফিস মেশিন (টিওএম) থেকে টিকিট নেওয়ার লাইনে দাঁড়ান। এই লাইন বেশ দীর্ঘ। তিনি বলেন, ‘টিকিট কাটার ব্যবস্থা দ্রুত করতে পারলে মানুষের এত জট হতো না।’
মেট্রোর প্রথম যাত্রার ইতিহাস হতে ভোর থেকেই মানুষের লম্বা সারি। বাইরে জট দীর্ঘ হতে হতে কয়েক কিলোমিটার ছাড়িয়েছে। অল্প কিছু করে মানুষ ঢোকানো হচ্ছে। আবার টিকিট কাটতে গিয়েও কিছুটা বিভ্রাটে পড়ছেন যাত্রীরা। স্বয়ংক্রিয় মেশিন বা ভেন্ডিং মেশিন থেকে যাত্রীরা নিজেরা টিকিট কাটতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন।
ভেন্ডিং মেশিনে কেউ আবার যাত্রার জন্য টিকিট কার্ড পেলেও টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। তাঁদের নাম, মুঠোফোন নম্বর ও টাকার পরিমাণ লিখে রাখা হচ্ছে। পরবর্তী সময় তাঁদের ফোন করে টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানানো হচ্ছে।
টিওএম বুথ থেকে স্থায়ী কার্ডের নিবন্ধন আজকে স্থগিত রাখা হয়েছে। নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় সময় লাগছে বেশি। তাই সব বুথ থেকেই এক যাত্রার টিকিট দেওয়া হচ্ছে।
একেকটি স্টেশনে ভেন্ডিং মেশিন ৬টি করে এবং টিওএম মেশিন ৪টি করে। সব কটিতেই অপেক্ষমাণ মানুষের সারি।
টিকিট কাটা নিয়ে বিভ্রাট প্রসঙ্গে ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক আবদুল মতিন চৌধুরী বলেন, ‘টিকিটের ক্ষেত্রে প্রথম দিন কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। যাত্রীর চাপ অনেক, তাঁদের বুঝতে কিছুটা সময় লাগছে। তবে সব ঠিক হয়ে যাবে।’