ভোলার মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া তেলবাহী জাহাজ সাগর নন্দিনী-২ এর পেছনের অংশ ডুবন্ত অবস্থায় আছে। তবে জাহাজ থেকে কোনো তেল ছড়িয়ে পড়ছে না বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিপিসিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
এ বি এম আজাদ জানান, ডুবে যাওয়া জাহাজটি উদ্ধারের জন্য মঙ্গলবার সকাল ১১টায় চাঁদপুর থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিয়েছে এবং আনুমানিক বিকেল ৫টার মধ্যে সেটি পৌঁছে যায়। এছাড়া মুন্সীগঞ্জ থেকে উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে ডুবুরি দলও কাছাকাছি সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সাগর নন্দিনী-২ ডুবে যাওয়া ও উদ্ধার কাজের বর্ণনায় বিপিসি জানায়, জাহাজটি ২৪ ডিসেম্বর রাত আড়াইটায় পিওসিএলের এলজে-৫ জেটিতে লোড নেওয়ার জন্য বার্থিং গ্রহণ করে। জাহাজটিতে ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৪৯৬ লিটার ডিজেল ও ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫২ লিটার অকটেন লোড করা হয়।
জাহাজটি ২৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় জেটি ত্যাগ করে এবং একই দিন বিকেল ৩টায় চাঁদপুরের ডিপোর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। জাহাজটি চাঁদপুরে যাওয়ার পথে ২৫ ডিসেম্বর ভোর ৪টার দিকে ভোলার তুলাতলি এলাকায় মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে অন্য একটি কার্গো জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনায় পড়ে এবং জাহাজের ইঞ্জিনের পেছনের দেয়াল ছিদ্র হয়ে পানি ঢুকে পেছনের অংশ নিমজ্জিত হয়ে পড়ে।
২৫ ডিসেম্বর বিপিসির পক্ষ থেকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, দুর্ঘটনার দায় নিরূপণসহ উদ্ধারকৃত জ্বালানি তেল ও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের জন্য ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা দুর্ঘটনাস্থলে অবস্থান করে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
২৬ ডিসেম্বর পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে সাগর নন্দিনী-২ জাহাজটিকে উদ্ধারের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে চিঠি দেওয়া হয়।